‘ফোকাস মোড’ আপনার মনোযোগ ধরে রাখার ডিজিটাল সহায়ক

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

অফিসের জরুরি কাজ বা পড়ার সময় পাশে রাখা মোবাইলে টুং-টাং নোটিফিকেশন বা ছোট্ট ভাইব্রেশন কি আপনার মনোযোগ টেনে নিয়ে যাচ্ছে? আমরা সবাই কমবেশি এই সমস্যায় পড়ি। এমন সময় মোবাইল ডাটা বা ফোন অফ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াও সম্ভব হয়না কাজের প্রয়োজনেই। তবে একটা উপায় আছে।

এই উপায়ের নাম – ফোকাস মোড। আমরা অনেকেই জানিনা যে, অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন – দুই ধরনের স্মার্টফোনেই এখন এমন একটি ফিচার আছে যা মনোযোগের এই বিঘ্নকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

ফোকাস মোড হলো আপনার মোবাইল ফেনের এমন একটি অপশন, যেটা চালু করলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফোনের নোটিফিকেশন কেবল দরকারি অ্যাপগুলোতেই সীমাবদ্ধ থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মেসেজ বা গেম অ্যাপগুলোর নোটিফিকেশন বন্ধ হয়ে যায়, ফলে মনোযোগ থাকে কাজ বা পড়াশোনায়।

এটি শুধু নোটিফিকেশন বন্ধ করে না, বরং অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো অস্থায়ীভাবে ‘পজ’ করে রাখে, যাতে ব্যবহারকারী নিজেই ফোন চেক করার প্রবণতা থেকে দূরে থাকতে পারেন।

‘ফোকাস মোড’ আপনার মনোযোগ ধরে রাখার ডিজিটাল সহায়ক

আইফোনে এই ফিচারটি পাওয়া যায় ‘সেটিংস’ এর ভেতর ‘ফোকাস’ অপশনে। এখানে ওয়ার্ক, স্লিপ, বা পার্সোনাল মোড বেছে নিয়ে আপনি নির্দিষ্ট সময়ে কোন অ্যাপ বা ব্যক্তির কল-মেসেজ পাবেন, তা ঠিক করতে পারেন।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই অপশন পেতে চলে যান ‘ডিজিটাল ওয়েলবিইং-এ। মেনুতে গিয়ে ‘ফোকাস মোড’ চালু করা যায়। চাইলে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন ও সময় অনুযায়ী এটি অটোমেটিকভাবে চালু করার ব্যবস্থাও আছে।

বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফোনের স্ক্রিন টাইম কমানো ও মানসিক স্বচ্ছতা বাড়াতে এমন টুল অত্যন্ত কার্যকর। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল–এর গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিতভাবে ডিজিটাল ডিস্ট্রাকশন নিয়ন্ত্রণে রাখা মানুষদের মনোযোগের স্থায়িত্ব অন্যদের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।

ফোকাস মোড হয়তো ছোট একটি ফিচার, কিন্তু আজকের দ্রুতগামী জীবনে এটি হতে পারে ডিজিটাল ভারসাম্য রক্ষার সহজ উপায়।

সূত্র: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল, গুগল ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং রিপোর্ট (২০২৩), অ্যাপল সাপোর্ট গাইড (২০২৪)

এএমপি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।