এসি বছরে কতবার সার্ভিসিং করানো ভালো

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪৪ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৫

এসি ছাড়া গরমের সময় বেশ কষ্ট হয়ে যায়। অফিস, বাড়ি সব জায়গায় এসি। এখনই অনেকে এসি ব্যবহার শুরু করেছেন। অনেকে আবার এই বছর পুরোনো এসি বাদ দিয়ে নতুন এসি কেনার পরিকল্পনা করছেন।

তবে জানেন কি, প্রতিবছর আসলে নতুন এসি কেনার প্রয়োজন হয় না। এক এসি দিয়ে আপনি কয়েক বছর কাটাতে পারবেন। এসির পারফর্মেন্স ভালো পেতে কয়েকটি কৌশল মেনে চলতে হয়। এর মধ্যে সবার প্রথমেই যে কাজটি করতে হয় তা হচ্ছে এসির যত্ন, নিয়মিত সার্ভিসিং এবং সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার।

বিজ্ঞাপন

জানেন কি, বছরে কতবার এসি সার্ভিসিং করা ভালো? অনেকেই ভাবেন, বছরে মাত্র একবার এসি সার্ভিস করলেই হয়! এসি-র সার্ভিস নিয়ে অনেকেই সঠিক তথ্য জানেন না। আজ আমরা সেই তথ্য আপনাদের জানাব।

এখন অনেকের বাড়িতেই দেড় টন এসি। আর অনেকেই বছরে গড়ে ৪-৫ মাস এসি চালান। তার পর দীর্ঘদিন এসি বন্ধ থাকে। আবার যখন গরম পড়ে তার আগে একবার এসি সার্ভিস করে নেন। অনেকে আবার বাড়িতে টুকটাক এসি সার্ভিস করে নেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সাধারণত বছরে তিনবার এসি সার্ভিস করাতে পারলে ভালো। গরম যখন পড়ে তার আগে অবশ্যই একবার এসি সার্ভিস করানো উচিত। কারণ দীর্ঘদিন এসি বন্ধ থাকে। তাই গরম পড়লে এসি চালানোর আগে একবার সার্ভিস করিয়ে নিতে হয়।

গরমের সময়টা পেরিয়ে গেলে একবার এসি সার্ভিস করাতে পারেন। গরমের সময় এসি চলে একটানা। ফলে গরমের মরশুম শেষ হলে একবার এসি সার্ভিসিং করিয়ে নিতে পারলে ভাল।

এখন অনেক সংস্থা নতুন এসি কিনলে এক বছর এসি সার্ভিস ফ্রি দেয়। আপনি চাইলে বছরের তিন নম্বর সার্ভিসিং করিয়ে নিতে পারেন শীতের সময়। ধরুন, আপনি অক্টোবর থেকে এসি বন্ধ রেখেছেন। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসি বন্ধ রাখবেন। তা হলে ডিসেম্বর নাগাদ এসির তৃতীয় সার্ভিসিং করিয়ে রাখতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

যাদের বাড়ি বা ফ্ল্যাট একেবারে রাস্তার পাশে, তাদের বাড়িতে ধুলো-বালির সমস্যা হয় বেশি। ফলে তারা চাইলে বছরে চারবার এসির সার্ভিস করাতে পারেন। তবে সেটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এছাড়া বাড়িতে এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। এখন কিছু সংস্থা এসি সার্ভিস করায়। তারা আউটডোর ইউনিটও পরিষ্কার করে দেয়।

আরও পড়ুন

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।