৫৭ লাখ টাকার পে-অর্ডার ফিরিয়ে দিল পুলিশ কনস্টেবল


প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী ও সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সাহাকে নির্যাতনের অভিযোগ পুলিশের ভাবমূর্তি অনেকখানি ক্ষুন্ন হয়েছে। তবে এবার ৫৭ লাখ টাকার পে-অর্ডার ফিরিয়ে দিয়ে সততার অনন্য দৃষ্টি স্থাপন করলেন পুলিশ কনস্টেবল লিটন সূতার।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে মোটরসাইকেলে করে ডিএমপি কন্ট্রোল রুমে ডিউটি করতে যাচ্ছিলেন লিটন। সামনেই ছিল আরেকটি মোটরসাইকেল। সামনের মোটরসাইকেলের চালকের পেছনে বাম দিকে এইচপি লেখা একটি ব্যাগ রূপসী বাংলা মোড়ে পড়ে যায়। লিটন কর্মস্থলে পৌঁছে ব্যাগটি খুলে জানতে পারনে ব্যাগটি সামিট কমিউনিকেশনসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ফিন্যান্স) মো. সাইফুল্লাহ রাসেলের। ব্যাগের ভেতরে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস রেগুলেটরি কমিটির (বিটিআরসি) নামে দুটি চেক আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এর মধ্যে একটি ৫০ আরেকটির সাড়ে সাত লাখ টাকা মূল্যের পে-অর্ডার।  
 
পরে লিটন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে ব্যাগটি জমা দেন। ব্যাগের ভেতর থাকা ভিজিটিং কার্ড দেখে ফোন দেয়া হলে সামিট গ্রুপের থেকে যোগাযোগ করেন আরেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ফাইনান্স) এ কে এম আহসান জামান। পরে তিনি  সশরীরে ডিএমপিতে এসে ব্যাগটি গ্রহণ করেন।
 
ব্যাগ পাওয়ার সংবাদ পেয়ে সাইফুল্লাহ রাসেল আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, এতদিন শুনেছি পুলিশ জনগণের বন্ধু। আজ সত্যি এর প্রমাণ পেলাম।
 
লিটন জাগো নিউজকে বলেন, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যে ব্রত পুলিশ বিভাগ শিখিয়েছে আমি সেটা পালনের চেষ্টা করেছি। ছোটকাল থেকেই ইচ্ছা ছিল পুলিশ হবো। পুলিশ হয়ে মানুষের উপকার করে সত্যি ভালো লাগছে।
 
লিটনের বাড়ি পিরোজপুরের কাউখাইল থানার আমরাজুড়ি গ্রামে। সে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেয়। তার বাবার নাম নিখিল চন্দ্র সূতার। ৩ ভাই-বোনের মধ্যে লিটন ছোট।
 
লিটনের সততার বিষয়ে এডিসি এস এম জাহাঙ্গীর আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘পুলিশি সেবা জনগণের দ্বারে পৌছানোর লক্ষ্যে আমরা নিরলস ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছি। আমরা এ ক্ষেত্রে জনগণের আরো কার্যকর সহযোগিতা চাই।’
 
এআর/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।