বগুড়ায় আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ : আহত ৭
সোনাতলায় দলিল লেখক সমিতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নবীন আনোয়ার কমরেড প্রায় ৭ বছর যাবত উপজেলা দলিল লেখক সমিতি নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। সম্প্রতি সমিতির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সোনাতলা পৌর শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রানার সঙ্গে কমরেডের বিরোধ চলে আসছিল। রানা বিভিন্ন সময় সমিতির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান রানা তার লোকজন নিয়ে দলিল লেখক সমিতিতে গেলে অপর আওয়ামী লীগ নেতা কমরেডের সঙ্গে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রথমে হাতাহাতি এবং পরে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৭ জন আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু উভয় পক্ষ মারমুখি অবস্থানে থাকায় এক পর্যায়ে পুলিশ সর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
সোনাতলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব হোসেন বলেন, আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড সর্টগানের গুলি ছুঁড়েছে। পুলিশের গুলিতে কেউ আহত হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনা সম্পর্কে আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান রানা বলেন, তার লোকজন কারো উপর হামলা করেনি। তাদের উপরই অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে।
তবে নবীন আনোয়ার কমরেড বলেন, তাদের উপর হামলাটি পূর্ব পরিকল্পিত। রানা নতুন করে সমিতির নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। আমরা বাধা দেয়ার কারণে হামলা করে তার লোকজন।
লিমন বাসার/এসএস/এমএস