খুলনায় টি-টোয়েন্টির টিকিট যেন সোনার হরিণ
নিজ শহরে নিজ দেশের খেলা, তাও আবার ক্রিকেটের রঙিনণ সংস্করন টি-টোয়েন্টি। এ কারণে আগ্রহের মাত্রাটাও একটু বেশি খুলনাবাসীর মধ্যে। তারওপর, এখানে খেলবে ঘরের ছেলে মাশরাফি, সাকিব, সৌম্য, মুস্তাফিজ এবং ইমরুল কায়েসরা (খুলনা বিভাগের)। সুতরাং, মাশরাফিদের খেলা স্টেডিয়ামে বসে দেখা চাই’ই চাই।
কিন্তু চাইলেই তো আর হবে না। এর জন্য লাগবে টিকিট। খুলনাই এখন এই একটা ‘বস্তুই’ পরিণত হয়েছে সোনার হরিণ-এ। টক অব দ্য খুলনা বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের টিকিট। টিকিটের জন্য বুধবার রাত থেকেই নগরীর খানজাহান আলী রোডে ইউসিবিএল ব্যাংকের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছে শহরাবাসী। টিকিটের লাইনে দাঁড়াতে দেখা গেছে খুলনা শহরের বাইরে থেকে আগতদেরও।
রাত থেকে দাঁড়ালেও প্রতিক্ষার প্রহর যেন শেষই হচ্ছিল না। অবশেষে দীর্ঘ লাইন দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে বৃহষ্পতিবার দুপুরে পুলিশের লাঠিচার্জের মুখোমখি হতে হয়েছে ক্রীড়াপ্রেমীদেও; কিন্তু ‘সোনার হরিণ’ টিকিটের দেখা পাননি অনেকেই। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, শাখা খোলার পর থেকে মাত্র ৩ ঘন্টার মধ্যে শেষ হয়েছে ৫ হাজার টিকিট। এরই মধ্যে যারা যারা টিকিট হাতে পেয়েছেন, তাদেও আর খুশি যেন ধরছে না। তবে তারাও বলছেন অব্যবস্থাপনার কথা। দুই হাজার টিকিটও বিক্রি হয়নি বলেও দাবি করেন তারা।
ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে নিজেদের অনেক আগেই চিনিয়েছে খুলনাবাসী। টেষ্ট ম্যাচেও ষ্টেডিয়ামে দেখে গেছে দর্শকদের উপচে পরা ভীড়। আর এবার তো টি-টোয়েন্টি। তাই আগ্রহের মাত্রাটা অনেক বেশী। বুধবার গভীর রাত থেকে বৃহষ্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকার পরও টিকিট না পাওয়ায় অনেকেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। যা ঠেকাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় পায়ের জুতো, মোবাইল হারিয়ে গেছে, ছিড়ে গেছে পরনের জামাও- এমনই নানা ক্ষোভ জানান টিকিট প্রত্যাশীরা।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের সামনে ক্রিকেটপ্রেমিরা টিকিটের জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাড়া দেয়, তবে লাঠিচার্জের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের হেড অব ব্রাঞ্চ মো. শফিউল ইসলাম বলেন, পাঁচ হাজার টিকিট তারা বিক্রি করেছেন ৩ ঘন্টায়। প্রয়োজনের তুলনায় টিকিট অপ্রতুল আর একটি বুথের কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
টিকিটের স্বল্পতার কথা স্বীকার করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শেখ সোহেল বলেন, ষ্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি এবং টিকিট বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।
আইএইচএস/আরআইপি