প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ জাতিকে হতাশ করেছে : বিএনপি


প্রকাশিত: ০৬:৫২ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ জাতিকে হতাশ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী রুটিন মাফিক বক্তব্য দিয়েছেন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গত দুই বছর ছিল গণতন্ত্র নির্বাসনের বছর। দলীয় করণের বছর। সব রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে ৫ জানুয়ারি অদ্ভুত সরকার গঠন করে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার গত দুই বছরে গণতন্ত্রের মুখোশ পড়ে একদলীয় শাসন কাজ এগিয়ে নিয়ে গেছে। গত দুই বছর ছিল গণতন্ত্র নির্বাসনে পাঠানোর বছর।

তিনি বলেন, দলের পক্ষ থেকে এমন দাবি করে বলা হয়, ‘সরকারের গত দুই বছর ছিল বিরোধী দলকে দমনপীড়নের বছর। গণতন্ত্রকে বিদায় করে দিয়ে তথাকথিত উন্নয়নের কথা বলে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করা এবং তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে ।’

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বর্তমান সরকারের দুই বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণে তিনি দাবি করেছেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে আছে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।

একইসঙ্গে তিনি আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা করে মানুষ হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন। দাবি করেছেন,বাংলাদেশে এখন গণমাধ্যম সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হয়েছে দাবি করলেও ভাষণে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা উল্লেখ করেননি শেখ হাসিনা।

জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আগামী নির্বাচন ও রাষ্ট্রের সব বিভাগকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করার কোনো নির্দেশনা ছিল না বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘সবাই আশা করেছিল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নির্দেশনা দেবেন।’

বিএনপি জামায়াত নয়,সরকারি দলের নেতাকর্মী এবং কিছু সংস্থার লোকজন আন্দোলনে সহিংসতা চালিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘ওই সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগের অনেক নেতাকর্মী সহিংসতা চালাতে গিয়ে গ্রেফতারও হয়েছে। অথচ এসব মিথ্যা অভিযোগে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে।’

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয় বলে দাবি করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমগুলো সরকারের মতের বাইরে কিছুই বলতে পারে না। অনেক গণমাধ্যম বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে জেলখানায় আছেন। এছাড়া সারাদেশে অনেক সাংবাদিক সরকার দলীয় লোকদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, বিএনপি অবৈধ হলেও আওয়ামী লীগও অবৈধ।

সংবাদ সম্মেলনে  উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.মঈন খান,নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।

এমএম/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।