পুনঃনির্বাচনে কাউন্সিলরদের ভাগ্য নির্ধারণ করলেন ভোটাররা
৩০ ডিসেম্বরের বিশৃঙ্খলাকে চ্যালেঞ্জে নিয়েই শেষ হলো মঙ্গলবারের পুন:নির্বাচন। জেলা নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের সহযোগিতায় ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পুনঃনির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে সকালের দিকে বেশির ভাগ ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করে। পরে বিকেল পর্যন্ত দু/একজন করে ভোট দিতে দেখা যায়।
পৌরসভায় ২নং ওয়ার্ডের মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৬৭ জন ভোটার ছিলেন। বিকেল ৪টার পরে ভোটগ্রহণ শেষে পুরুষ ও মহিলা কাউন্সিলরদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়।
উটপাখি প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন মাতুব্বর। তার প্রাপ্ত ভোট ৫৪৬ এবং তার নিকটতম প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ পাঞ্জাবী প্রতীকে পান ২৪১ ভোট।
এছাড়া নগরকান্দা পৌরসভার ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর খাদিজা বেগম কাঁচি প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন। তার প্রাপ্ত ভোট ১হাজার ১৩১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শিরিন সুলতানা আঙ্গুর প্রতীকে পায় ৮২৯ ভোট।
পুনঃনির্বাচনে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে দু’জন পুরুষ সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড মিলে তিনজন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পুনঃনির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আবু রায়হান জানান, আজ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই পুনঃনির্বাচনের ভোট অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। প্রার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার অভিযোগ ছিল না বলেও তিনি জানায়।
উলেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর নগরকান্দা পৌরসভার নির্বাচনে মোট ৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ চলাকালীন বেলা ১১টার দিকে ২নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় কেন্দ্রেটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
নগরকান্দা পৌর নির্বাচনে ৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী রায়হান উদ্দিন মিয়া। অপরদিকে ১ হাজার ২৩৩ ভোট পান তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সাইফুর রহমান মুকুল।
তরুন/এমএএস/আরআইপি