নিজের বিয়ের শিল্পী নিজেই
সাধারণত বিয়ে শাদীর অনুষ্ঠানে পাড়া মহল্লায় দেখা যায় গানের শিল্পী ও দল ভাড়া করে আনতে। যাদের সেই সামর্থ্য বা সুযোগ নেই তারা সাউন্ড বক্সেই মাতিয়ে তুলেন। তবে গানের দল ‘জলের গান’র সদস্য জার্নাল খানিকটা ভিন্ন আয়োজনে গেলেন। নিজেই গান গেয়ে শোনালেন নিজের বিয়ের গায়ে হলুদে।
শুধু তাই নয়; জার্নালের সঙ্গী হলেন তার স্ত্রী কথাও। আর এতে নতুন করে প্রমাণ হলো আরো একবার ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে।
গেল বছরেই পারিবারিকভাবে জার্নাল ও ঐকিক থিয়েটারের নাট্যকর্মী আজমিন আজাদ কথার বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই সংগীত বিষয়ে কোরিয়ান একটি ফেলোশিপ নিয়ে পাঁচ মাসের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া চলে যান জার্নাল। গেলো মাসেই তিনি দেশে ফিরেছেন। এবার পারিবারিকভাবে আয়োজন করা হয়েছে তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা।
এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার(৭ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জে কনের বাড়িতে আয়োজন করা হয়েছিল হলুদ সন্ধ্যা। সহশিল্পীর বিয়ে বলে কথা! হলুদ সন্ধ্যার পুরোটা সময় গানে গানে মাতিয়ে রাখেন জলের গানের সদস্যরা। আর এতে অন্যদের সঙ্গে জার্নালকেও গাইতে দেখা গেল। সঙ্গে যোগ দেন নববধূ কথা।
বিয়ের তিন দিনব্যাপী আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এলাকায় জার্নালের বাড়িতে শনিবার, ৯ জানুয়ারি বর্ণিল অনুষ্ঠান রয়েছে। সেখানেও জলের গান সুরের মূর্ছনা ছড়াবে।
জলের গানের অন্যতম সদস্য সাইফুল ইসলাম জার্নাল প্রাচ্যনাটের সঙ্গেও দীর্ঘদিন থেকে জড়িত। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ‘ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিষয়ে পড়াশোনা করেন। তার বাবা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম পেশায় ডাক্তার। মা মোর্শেদা খাতুন চৌধুরী গৃহিণী।
অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জের মেয়ে আজমিন আজাদ কথা ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের (ইউডা) চারুকলা বিভাগে স্নাতক করছেন। পাশাপাশি গান ও মঞ্চনাটকের সঙ্গে যুক্ত তিনি। তার বাবা কবি হালিম আজাদ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বার্তা সম্পাদক। মা ফাহমিদা আজাদ নারীনেত্রী ও আবৃত্তিকার।
এলএ