আবারও থমকে গেল ফেলানী হত্যার বিচার


প্রকাশিত: ০২:৫১ এএম, ২২ নভেম্বর ২০১৪

আবারও থমকে গেল সীমান্তে বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার বিচার প্রক্রিয়া। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহারের দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিশেষ আদালত আপাতত মুলতবি করা হয়েছে। কোচবিহার সেক্টরের বিএসএফের ডিআইজি ডিএ সান্ধ্যা এ খবর নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ফেলানী হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত এ বিচার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। ডিএ সান্ধ্যা জানান, আদালত মুলতবি হওয়ার কারণে মামলার কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে মামলায় ফেলানী হত্যার মূল অভিযুক্ত অমিয় ঘোষের অসুস্থতার বিষয়েও তিনি কোনো তথ্য দিতে পারেননি। বিবিসির খবরে বলা হয়েছিল, আদালতে অমিয় ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিচার কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সান্ধ্যা জানান, আদালতে বিচারকার্য ফের শুরু হলে ফেলানীর মা-বাবা কিংবা সংশ্লিষ্ট কাউকে ডাকা হবে কিনা, তা পরে আদালতই ঠিক করবেন। এ বিষয়ে তিনি আগাম কোনো মন্তব্য করেননি।

প্রসঙ্গত, গত বছর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। বিচারে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ফেলানীর বাবা-মা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পুনর্বিচারের আবেদন জানালে সম্প্রতি এ বিচার আবারও শুরু হয়। বিচারে সাক্ষ্য দিতে ফেলানীর বাবা ভারতে যান।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ বিচার আবারও স্থগিত করা হলো। ২০১১ সালে কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী। তার মরদেহ চার ঘণ্টা সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ ছবি প্রকাশিত হলে দেশে-বিদেশে মানবাধিকার কর্মীরা সরব হয়ে ওঠেন। তীব্র সমালোচনার মুখে এই হত্যার বিচার শুরু করে বিএসএফ।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।