আলোচনায় শুধুই সমাবেশ
‘সমাবেশ’ টক অব দ্যা টাউন। গোটা রাজধানী জুড়েই আলোচনার বিষয় এখন আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমাবেশ। আলোচনা সারা দেশেই। আছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠাও।
সমাবেশকে ঘিরে কি হতে পারে, বিএনপির সমাবেশে নেতার্মীরা উপস্থিত হতে পারবেন কি না, সেই সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া কিই-বা বলবেন আজ, ক্ষমতাসীন দলই-বা কতটুকু ছাড় দেবে বিএনপিকে-এমন হাজারো প্রশ্নে ঘুরপাক খাচ্ছে নগরবাসী।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির ডাকা আজকের সমবেশকে কেন্দ্র করে নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম নিয়েছে জনমনে। ওই নির্বাচনকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ দাবি করে আওয়ামী লীগ আজ মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারাদেশে সভা সমাবেশের ঘোষণা দেয়। দলটি প্রধান কার্যালয় বঙ্গবন্ধুু অ্যাভিনিউয়ে এবং রাসেল স্কয়ারে সমাবেশের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন করেছে। দুপুর আড়াইটা থেকে আওয়ামী লীগের সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর বিএনপি তাদের নিজ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে। ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্রের হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে ওই সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে উভয় দলই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়। একই দিনে একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করায় নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় এনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ডিএমপি।
এদিকে একই দিনে দুই দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরবাসীর অনেকেই উৎসাহ নিয়ে আলোচনা, সমালোচনায় লিপ্ত রয়েছেন। জন্ম দিয়েছে নানা উদ্বেগ-উৎকন্ঠারও। অনেকেই মনে করছেন, দীর্ঘদিন পর দেশের বড় দুটি সংগঠনের এমন কর্মসূচি দেশের রাজনীতির জন্য ইতিবাচকও হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন, জেদের বশে এমন কর্মসূচি রাজনৈতিক সহিংসতাকে আরো উস্কে দেবে।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে আলোচনা হচ্ছে গণমাধ্যমগুলোতে। সমাবেশ নিয়ে প্রধান শিরোনাম করে দেশের প্রতিটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যমেও গুরুত্ব দিয়ে এ ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।
ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক গণমাধ্যমগুলোতেও এ নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি হচ্ছে। কেউ নিজ দলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। আবার কেউ নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে আলোচনা, সমালোচনায় অংশ নিচ্ছেন।
সমাবেশ ঘিরে আদৌ কি হতে যাচ্ছে, তা দেখার জন্য অপেক্ষা আর কয়েক মুহূর্তের। গণতন্ত্রের জন্য দুই দলের এমন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে গণতন্ত্র রক্ষা পাবে নাকি সেই পথ আরও পিচ্ছিল হবে, তা দেখার অধীর আগ্রহে রয়েছে দেশের জনগণ।
এএসএস/এআরএস/পিআর