কোকেন পাচার : ২ জনের জামিন স্থগিত
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে তেলের সঙ্গে কোকেন পাচারের মামলায় দুই আসামিকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত। আসামিরা হলেন, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান ও আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করে এই দেন। এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মুরাদ রেজা। আসামিদের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী এসএম মনির।
গত ২৭ জুন কোকেন জব্দের ঘটনায় চট্টগ্রামের বন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে চোরাচালানের অভিযোগে এই মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারাও সংযোজন করা হয়। তেলের চালানে কোকেন শনাক্ত করার ঘটনায় লন্ডন প্রবাসী দুই বাংলাদেশিসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন; লন্ডনপ্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের রাজনগরের বকুল মিয়া, তেলের চালানটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক একে আজাদ, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল আলম ও আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল। এর মধ্যে আসামি ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া পলাতক রয়েছেন।
গত ৬ জুন পুলিশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত করা হয়। প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল রয়েছে। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের (৯৬ ও ৫৯ নম্বর) নমুনায় কোকেন শনাক্ত করে।
এফএইচ/এসকেডি/আরআইপি