করের আওতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে এনবিআর-এফবিসিসিআই


প্রকাশিত: ০৪:৫৩ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৫

চলতি অর্থবছরের বিশাল আকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা আদায়ে করের আওতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। তাই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক স্থাপনসহ দেশব্যাপি করের আওতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ।

রোববার রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে ‘এনবিআর-এফবিসিসিআই রাজস্ব সংলাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মাতলুব আহমাদ বলেন, ব্যবসায়ীরা কর দিতে চায়। কিন্ত কর দিতে গিয়ে তারা যে সমস্যায় পড়েন তার কোনো সমাধান হয় না। এনবিআর ও এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে পরস্পরে মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি করে হয়রানি কমানো সম্ভব। তাই এবারের রাজস্ব সংলাপের মূল উদ্দেশ্য পরস্পরের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি করা।

তিনি বলেন, একটি মহল আমাদের উদ্যোগকে গ্রহণ না করে বিপরীত আচরণ করছে। এর ফলে রাজস্ব সংলাপের প্রথম আলোচনার পর ব্যবসায়ীদের হয়রানি করার মাত্রা আরও বেড়েছে। অথচ এটা হওয়ার ছিল না।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের সভাপতি বলেন, ব্যবসায়ী ও সরকারের মধ্যে বিশ্বাসের ভিত আরো মজবুত করতে হবে। আস্থার জায়গা যদি বৃদ্ধি পায় তাহলেই রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এক সময় ব্যবসায়ীদের ভিন্ন ভিন্ন কর খাতা রাখতে হতো। এখন এই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তবে সমস্যা হচ্ছে এখনো এক টাকার কর দিতে গিয়ে তিন টাকা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এটা দূর করা জরুরি।

এসময় করের বোঝা না বাড়িয়ে করের আওতা বাড়ানোর ওপর জোড় দেন এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, যারা কর দিচ্ছেন তাদের ওপর করের বোঝা আরও চাপানো হচ্ছে। কিন্তু এনবিআর বা সরকারের উচিৎ করের বোঝা না বাড়িয়ে করে আওতা বাড়ানো। কারণ করের আওতায় না বাড়ালে কোনোদিনই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন আগে ফেডারেশন ভবনে অনুষ্ঠিত আমাদের প্রথম সংলাপে ব্যবসায়ীরা অনেক সমস্যার কথা বলেছেন। এসবের মধ্যে কিছু কিছু বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করি ওইসব বিষয়ে ভবিষ্যতে আর কোনো সমস্যা হবে না।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ ধরনের সংলাপের মাধ্যমে আমরা এনবিআরের দরজা-জনালা খুলে দিয়েছি। আপনারা এই সংস্থার ভেতরে ঢুকে সমস্যা সম্মন্ধে আমাদের বলবেন। আমরা যথাসাধ্য দ্রুত তা সমাধানের চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল (এসডিজি) বাস্তবায়নের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যেই আমাদের এগুতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

সংলাপে এনবিআরের সিনিয়র সদস্য ফরিদ উদ্দিন, ফারুক ইকবাল, ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর, বিভিন্ন চেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এসআই/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।