বগুড়ায় মসজিদে হামলার ঘটনায় আরো দুইজন আটক


প্রকাশিত: ০৪:২৯ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৫

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার হরিপুরে শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনায় মোলামগাড়ী এমদাদুল ইলুম কওমী মাদ্রাসার পিন্সিপাল শামসুল হক (৬০) তার ছেলে ও একই মাদ্রাসার শিক্ষক আবু হাসানকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তাদেরকে আটক করা হয়। ফলে মসজিদে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৪ জনকে আটক করা হলো।

এর আগে মাদরাসার এক ছাত্রসহ সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- জুয়েল (২০) ও আনোয়ারুল ইসলাম (৫৫)। গ্রেফতারদের মধ্য আনোয়ার হোসেন (৩৫) জেএমবির সাবেক ক্যাডার বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে ২০১০ সালের জুলাই মাসে নিজ গ্রাম আলিয়ারহাট থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। জেএমবির এহসার সদস্য হিসেবে স্থানীয় একটি মসজিদে সে সময় অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিতো। আর শিয়া মসজিদে হামলার পর অস্ত্রধারীরা যে জমির ভেতর দিয়ে পালিয়েছে সেই পথটিও আলিয়ার হাটে গিয়ে শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের শেষের দিকে মসজিদের দেয়াল টপকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ৪ যুবক মসজিদে প্রবেশ করে নামাজরত মুসল্লিদের উপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া গুলিতে মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনসহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে মাথায় গুলি লেগে আহত মসজিদের মোয়াজ্জিন মোয়াজ্জিম হোসেন (৬৫) বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।

এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা বলছেন, হামলাকারীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ক্যাডার হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে এই এলাকায় শিয়াদের বিস্তৃতি এবং জঙ্গি বিরোধী সরকারের নানা পদক্ষেপের প্রতিশোধ স্বরুপ এ হামলা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা।

আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।