মতলবে রোটা ডায়রিয়া : ১৭ দিনে দেড় সহস্রাধিক রোগী ভর্তি
চাঁদপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে রোটা ডায়রিয়ার প্রকোপ ব্যাপক আকারে দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোটা ডায়রিয়ার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।
মতলব আইসিডিডিআরবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জাগো নিউজকে জানান, গত ১৭ দিনে রোটা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৭শ ৭৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। চাঁদপুর ছাড়াও লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১শ থেকে ১শ ২০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা-সেবা নিচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি বলে তিনি মনে করেন। তবে চিকিৎসা-সেবা নিতে এসে কোনো রোগী মারা যায়নি।
হাসপাতালের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালের ৩টি কক্ষে ধারণক্ষমতা ৭০ জন রোগীর। বারান্দাসহ ১৫০ জন রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালের ৩টি কক্ষে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়ে আছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বারান্দায় বেড বিছিয়ে রোগীদের চিকিৎসা-সেবা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে রোগীদের জন্য ওরস্যালাইন, সুজি ও বেবিজিংক ট্যাবলেট সরবরাহ করছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা-সেবা নিতে আসা মুদাফরগঞ্জ উপজেলার শিশু মারিয়া আক্তারের (৫) মা, চান্দিনা উপজেলার পর্শি করের (১) মা পপি কর ও রায়পুর উপজেলার রাবেয়া আক্তার (১) এর মা রেহানা আক্তার জাগো নিউজকে জানান, এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান খুবই ভাল। রোগী নিয়ে আসার পর থেকেই চিকিৎসা সেবা শুরু হয়। সরকারি হাসপাতালের মতো ডাক্তারের জন্য বসে থাকতে হয় না।
আইসিডিডিআরবির সিনিয়র মেডিসিন অফিসার ডা. চন্দ্র শেখর দাস জাগো নিউজকে জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি শীতকালীন ডায়রিয়া। অর্থাৎ এই ডায়রিয়াকে রোটা বলে। ভাইরাসজনিত কারণে, দূষিত খাবার ও দূষিত পানি পান করা, ময়লা মুখে দেয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় শিশুরা ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এসব রোগীদের নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ্য করে তুলতে চিকিৎসকরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকেন।
ইকরাম চৌধুরী/এসএস/এমএস