দাদাকে শামছুদ্দিন, বাবাকে নাসির হত্যা করে : নবম সাক্ষী


প্রকাশিত: ০৮:৩৯ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০১৫

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জ জেলা বারের আইনজীবী মো. শামসুদ্দিন আহমেদ, এটিএম নাসিরের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউশনের নবম সাক্ষী মো. আব্দুল গনি   তার জবানবন্দি পেশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, আসামি শামছুদ্দিন আহমেদ আমার দাদা চান্দু শেখকে এবং এটিএম নাসির আমার আমার বাবাকে গুলি করে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুইজন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন।

অষ্টম সাক্ষী মো. আব্দুস ছালাম এবং নবম সাক্ষী মো. আব্দুল গনি তাদের জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দি শেষে সাক্ষীদের জেরা করেন রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান। সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণে সহায়তা করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন।

অষ্টম সাক্ষী মো. আব্দুস ছালাম বলেন, রাজাকাররা আমার বাবা আব্দুল জব্বারকে গুলি করে মেরে ফেলেছে। যারা মেরেছে তাদের মধ্যে এটিএম নাসির, শামছুদ্দিন, রাজাকার হেকিমসহ আরো অনেকে ছিলেন। আমি আমার বাবা হত্যার ঘটনা আমার চাচা আব্দুল বারেক ও ভাগিনা গিয়াস উদ্দিনের কাছে শুনেছি।

নবম সাক্ষী মো. আব্দুল গনি  বলেন, একাত্তরের ১২ নভেম্বর গাজি মো. মান্নানের নেতৃত্বে আসামি অ্যাড. শামছুদ্দিন, এটিএম নাসির, মো. হাফিজ উদ্দিন ও মো. আজহারুল ইসলামসহ ৭০/৮০ জন রাজাকার আমাদের আয়লা গ্রামসহ বিদ্যানগর, ফতেরগোপ, কিরাটন বিল এলাকায় হামলা চালায়।

সাক্ষী বলেন, আসামি এটিএম নাসির আমার বাবা আব্দুল মালেক শেখকে গুলি করে হত্যা করে এবং আসামী শামছুদ্দিন আহমেদ আমার দাদা চান্দু শেখকে গুলি করে হত্যা করে। আমাদের বাড়ির পেছনে আমি তাদের লাশ দেখতে পাই। আসামি শামছুদ্দিনকে সাক্ষীরা ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় শনাক্ত করেন।

এফএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।