শেরপুরে `ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব` শুরু


প্রকাশিত: ১২:৪১ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

‘শান্তি মিলন আর ভালবাসার উৎস ফাতেমা রানী, মা-মারিয়া’ এই মূল সুরের উপর ভিত্তি করে প্রায় ৪০ হাজার খ্রিষ্টভক্তের অংশগ্রহণে ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারী ধর্মপল্লীতে দুই দিনব্যাপি এ উৎসব শুরু হয়েছে।

হাজার হাজার ভক্তদের অংশগ্রহণে মোমবাতির আলোর মিছিলসহ তীর্থের নানা নান্দনিক দৃশ্য দেখতে কেবল খ্রিষ্টভক্তরাই নয়, বাৎসরিক এ তীর্থোৎসবে পর্যটকবেশী নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ আর মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও ভিড় জমিয়েছেন।

তীর্থ উৎসবের সমন্বয়ক রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ্র এম চিরান জানান, বৃহস্পতিবার সান্ধ্যকালীন খ্রিষ্টযাগের মধ্য দিয়ে তীর্থোৎসবের উদ্বোধন করেন দিনাজপুর খ্রিষ্টধর্ম প্রদেশের বিশপ সেবাস্টিয়ান টুডু। রাত ৮টায় আলোর মিছিল, পাপ স্বীকার, পবিত্র সাক্রামেন্তের আরাধনা, নিরাময় অনুষ্ঠান ও গীতি আলেখ্য অনুষ্ঠিত হবে। আলোর মিছিলে হাজার হাজার খ্রিষ্টভক্ত মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার পাহাড়ী ক্রুশের পথ অতিক্রম করবেন। শুক্রবার সকালে জীবন্ত ক্রুশের পথ পরিভ্রমণ ও মহাখ্রিষ্টযাগের মাধ্যমে তীর্থোৎসবের সমাপ্তি হবে।

তীর্থ উৎসবের নিরাপত্তা কমিটির সমন্বয়ক রেভারেন্ট ফাদার ফিদেলিস নেংমিনজা জানান, তীর্থ উৎসব উপলক্ষে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। স্বেচ্ছাসেবক দল, আনসার, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ সাদা পোশাকে অনেক নিরাপত্তাকর্মী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত রয়েছেন।

নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম ফসিহুর রহমান জানান, এবারের তীর্থ উৎসবে অনাকাঙ্খিত ঘটনা মোকাবেলা করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত সার্বক্ষণিক সক্রিয় রয়েছে।

১৯৯৮ সালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে ও অনুকরণে ‘ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থান’ স্থাপন করা হয়। সেই থেকে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপি তীর্থ উৎসব পালিত হয়ে আসছে। ধর্মীয় চেতনায় দেশি-বিদেশি হাজার হাজার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রেণের মধ্য দিয়ে প্রতি বছর বার্ষিক তীর্থোৎসব পালিত হওয়ায় বর্তমানে এটি আন্তর্জাতিক মহাতীর্থ স্থানের রূপ পেতে যাচ্ছে।

হাকিম বাবুল/এসএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।