সিরাজগঞ্জ-ঈশ্বরদী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ
সিরাজগঞ্জ জিআরপি পুলিশের হাতে রাজশাহী মেইল ট্রেনের সহকারী চালক ও গার্ডকে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে শনিবার রাত ৮টার পর থেকে সিরাজগঞ্জ-পাবনার ঈশ্বরদী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ট্রেন বন্ধ থাকায় এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। আহতরা হলেন ট্রেনের সহকারী চালক আনিছুর রহমান ও গার্ড আনোয়ার হোসেন।
ট্রেনের চালক খলিলুর রহমান জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনগামী ট্রেনটি সন্ধ্যার একটু আগে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও লাহিড়ী মোহনপুর স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছলে জিআরপি পুলিশ একটি মরদেহ তোলার জন্য ট্রেনটি থামাতে বলে। এসময়য জিআরপি পুলিশকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে বলা হয়। এ নিয়ে ট্রেনের স্টাফ ও জিআরপি পুলিশের মধ্যে কথাকাটাটির ঘটনা ঘটে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে মরদেহটি ট্রেনে তোলা হয়।
রাত ৮টার দিকে ট্রেনটি সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে পৌঁছার পর ট্রেন থেকে নামার পরই অতর্কিতভাবে জিআরপির ৬/৭ জন পুলিশ ট্রেনের সহকারী চালক ও গার্ডকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারে। এমনকি সহকারী চালককে মরদেহর উপর ফেলেও মারপিট করা হয়।
পরে আহত অবস্থায় উদ্ধারের তাদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। ট্রেনটি পুনরায় সিরাজগঞ্জ থেকে পাবনার ঈশ্বরদী যাবার কথা থাকলেও ঘটনার পর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ট্রেনে থাকা সিরাগঞ্জের উল্লাাপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীগামী প্রায় ৪/৫ শতাধিক যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। রাত ১১টার দিকেও অনেক যাত্রীকে ট্রেনে অলস বসে থাকতে দেখা যায়। আবার অনেকে ফিরেও গেছেন।
সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, সহকারী চালক ও গার্ডকে মারপিট করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কর্তব্যরতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের ডিভিশনাল ম্যানেজার (পাকশী) আফজাল হোসেন মোবাইলে জানান, যারা ট্রেনের স্টাফদের মারপিট করেছেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগ করা হবে। পাশাপাশি বিষয়টির তদন্তে রেল বিভাগের পক্ষ থেকে কমিটি করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ঈশ্বরদী থেকে অতিরিক্ত আরেকজন চালক পাঠানোর পর ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশনের দিকে ছেড়ে আসবে।
বাদল ভৌমিক/বিএ