চে গুয়েভারার ৪৮ তম প্রয়াণ দিবস আজ
বিপ্লবের স্বপ্নপুরুষ চে গুয়েভারার ৪৮ তম প্রয়াণ দিবস আজ। ১৯২৪ সালের ১৪ জুন তিনি আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণ করেন। বেঁচে ছিলেন মাত্র ৪৩ বছর। তাকে হত্যা করা হয়েছিল ১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবরের রাতে। এই কিংবদন্তি বিপ্লবীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সারা পৃথিবীতে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
১৯৬৭ সালের ৮ অক্টোবর মার্কিন সমর্থনপুষ্ট বলিভীয় সেনাবাহিনীর হাতে আহত অবস্থায় বন্দী হন তিনি। পরদিন ৯ অক্টোবর বলিভিয়ার সেনাবাহিনীর এক মদ্যপ সৈনিক তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মৃত্যুর আগে চে বলেছিলেন, ‘আমি জানি তোমরা আমাকে গুলি করে মারবে। আমি জীবিতাবস্থায় বেরুতে পারব না।’
এই ক্ষণজন্মা বিপ্লবীর জন্ম আর্জেন্টিনার গোমারিও শহরে। পড়াশুনার হাতেখড়ি পরিবারে। তারপর বুয়েন্স আয়ার্সের ন্যাশনাল মেডিকেল স্কুল এবং কলেজ। পড়াশুনা শেষে রক্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হন। কিন্তু এই ডাক্তারের রক্তে এবং চেতনায় ঢুকে যায় মার্ক্সবাদের মন্ত্র। যার ফলে চেতনায় ঘুরপাক খেতে থাকে শোষিত মানুষের প্রতিচ্ছবি। সারাক্ষণ অস্থির। কিছু একটা করতে হবে এদের জন্য। তাই ছুটে যান নিরন্ন-অনাহারী মানুষের কাছে। দিনের পর দিন। মাসের পর মাস। এভাবে পার হয়ে যায় বছর। শোষিত মানুষের মুক্তির জন্য বিপ্লবের নেশায় পাগল হয়ে ওঠেন তিনি। বন্ধু চিচিনার দেয়া ১৫ ডলার ও বন্ধু আলবার্তোকে সঙ্গে নিয়ে জরাজীর্ণ মোটর সাইকেলে চড়ে আর্জেন্টিনার ক্ষুদ্র গণ্ডি পেরিয়ে ঘুরে বেড়ান ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে।
ষাট ও সত্তর দশকে লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া তথা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের কাছে বিপ্লবের সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। শুধু তখনকার বিশ্বই নয়, আজকের আধুনিক বিশ্বেও বৈশ্বিক আর আদর্শিক চেতনার প্রতিশব্দ চে। চে কেবল একজন ঐতিহাসিক বিপ্লবীই নন, এখন তিনি সবার আদর্শের প্রতীক।
এআরএস/পিআর