ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা ঠেকাতে ফরম যাচাই করবে ইসি


প্রকাশিত: ০১:৪১ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০১৫

চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে রোহিঙ্গাদের তালিকাভুক্তি হওয়া ঠেকানো সম্ভব হয়নি বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। টাকার বিনিময়ে গুটিকয়েক স্থানীয় লোক তাদেরকে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর নিবন্ধন কর্মীদের সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে কমিশনের কাছে।

তাই রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় নিবন্ধন হয়ে যাওয়া ফরমগুলো পুনঃযাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। একইসঙ্গে নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলাদা তথ্যভাণ্ডার তৈরিরও ইচ্ছে রয়েছে কমিশনের।
 
নির্বাচন কমিশনের যুগ্মসচিব জেসমিন টুলী জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহেই নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের তথ্য চেয়ে রোহিঙ্গা শিবির, তিন মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছে চিঠি দেয়া হবে।

রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া বন্ধ করতে নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলাদা তথ্যভান্ডার তৈরি করা হবে। এখন অন্তত নাম-ঠিকানা পেলেও তারা ভোটার হয়েছে কি না বা চেষ্টা করছে কিনা তা যাচাই করা সম্ভব হবে।

তিনি জানান, ছবি ও আঙ্গুলের ছাপসহ রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা গেলে বিদ্যমান ভোটার তালিকায় তাদের শনাক্ত করা এবং ভবিষ্যতে তাদের ভোটার হওয়া ঠেকানো সহজ হবে।

ইসি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে কক্সবাজারে অবিশ্বাস্য সংখ্যক ভোটার হওয়ার তথ্য পেয়েছে কমিশন। এবারের নতুন তালিকাতেও রোহিঙ্গারা ঢুকে থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে ইসির ধারণা।

হালনাগাদে কক্সবাজারে ৬ শতাংশের কাছাকাছি ভোটার হওয়ার হারকে অস্বাভাবিক আখ্যা দিয়েছেন ইসি সচিব সিরাজুল ইসলামও। তিনি বলেন, এখনো অনেক রোহিঙ্গা এদেশের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। সামান্য কিছু টাকার জন্য গুটিকয়েক লোক তাদের সহযোগিতা করছে।

তবে যারা রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

এবিষয়ে ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মাহফুজা আক্তার বলেন, বিষয়টি নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ইসি সচিব ও এনআইডি মহাপরিচালক কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সমন্বয় সভা করেন। ওই সভায় রোহিঙ্গা ঠেকাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুনরায় ফরম যাচাইয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কুতুপালং ও নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরে ৩০ হাজার নিবন্ধিতসহ মোট দুই লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে বসবাস করছেন। এছাড়া আরো প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে।

এইচএস/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।