মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর উন্নয়নে ২ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ প্রণোদনায় জাতীয় প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উন্নয়নে এক কোটি বাহাত্তর লক্ষ টাকার এক চেক হস্তান্তর করছে ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন প্রমোটার্স এসোসিয়েশন (এফআইপিএ) এবং বাংলাদেশ লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ এসোসিয়েশন (বিএলএফসিএ)। শনিবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ চেক হস্থান্তর করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বলেন, সারা বিশ্বেই কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা অর্থাৎ সিএসআর একটি সুপরিচিত শব্দ। সকল দেশেই বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা টেকসই সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সিএসআর এর আওতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখে। এক সময়ে আমাদের দেশে কিছু সংখ্যক শিল্পপতি এবং ধনী মানুষ ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ থেকে; কেউবা যশ, মান, খ্যাতি অর্জনের লক্ষ্যে গরিব মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করত। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এসব সহায়তা এখন আর শুধুমাত্র নৈতিক মূল্যবোধের পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নেই।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশেও সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সিএসআর কার্যক্রম প্রাতিষ্ঠানিক রূপলাভ করেছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়ের ধরন অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ভিন্ন। এসব প্রতিষ্ঠান সরাসরি জনগণের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে আবার জনগণকেই সেই অর্থ ধার দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে। এ কারণে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিএসআর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে একটু বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে বড়ো আর কোনো সম্পদ হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে সদা জাগ্রত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আমাদের ঐতিহ্য ও অহঙ্কারের প্রতীক। তাই দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে সমুন্নত রাখতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আজ যে অর্থ প্রদান করলো, তা কিছুটা হলেও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.কে. সুর চৌধুরী এবং এফআইপিএ এর সভাপতি এম. মতিউল ইসলাম ও বিএলএফসিএ এর সভাপতি আসাদ খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন পেশা ও সংগঠনের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বড় সম্পদ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাগণ।