ট্রানজিট ফি পুনর্বিবেচনার দাবি বিএনপির


প্রকাশিত: ১২:৪২ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের ফি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। ভারতের পণ্য পরিবহনে টন প্রতি পাঁচশ ৮০ টাকার পরিবর্তে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নির্ধারিত প্রতি টনে এক হাজার টাকা ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট ফি আদায়ের দাবি করেছে দলটি।

শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলের মুখাপাত্র ও আন্তর্জতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।

রিপন বলেন, বুধবার ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের ফি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে প্রতি টনে এক হাজার টাকার পরিবর্তে কমিয়ে পাঁচ শত ৮০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। বিএনপি ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের বিরোধী নয়। তবে এর বিনিময়ে দেশ কি পেল তা ভেবে দেখতে হবে।

প্রধামন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান শুরু থেকেই ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের বিনিময়ে ভারতের কাছ থেকে মাশুল আদায়ের বিরোধী জানিয়ে রিপন বলেন, ভারত যে পণ্য পরিবহন করে তা রিলিফ কর্মসূচি নয়। যদি রিলিফ কর্মসূচি হতো তাহলে তা দেশ বিবেচনা করতে পারে। কিন্তু ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের মতো বানিজ্যিক কার্যক্রম কোন ভাবেই রিলিফ কর্মসূচি ভাবার কারণ নেই।

তিনি আরো বলেন, সরকারে, প্রশাসনে কিছু অতি বিদেশ বান্ধব কর্মকর্তা থাকতে পারে।তবে দেশের মানুষ কোন ভাবেই তা মেনে নেবে না। তারা চায় ভারত প্রতিবেশী সুলভ সর্ম্পকের স্বার্থে দেশের ভূমি ব্যবহার করে যে লাভ করছে তার উপযুক্ত মাশুল আমাদেরকে দিক।

রিপন বলেন, স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কখনো বন্ধুত্ব হয় না। সরকারের নৈতিক ভিত্তি দুর্বল থাকার কারণে তারা ভারতের কাছে থেকে ন্যায্য মাশুল আদায় করতে নতজানুতার পরিচয় দিচ্ছে। তবে ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ন্যায্য মাশুল আদায় করতে হবে।

তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাটের মাধ্যমে বছরে মাত্র ৫০ কোটি টাকা আদায়ের জন্য সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তারাই কেন দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের সঙ্গে ট্রানজিটের ন্যায্য মাশুল আদায়ে এতটা আপোষকামী তা জাতি জানতে চায়।

সম্প্রতি জয়পুরহাট সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিএসএফ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। কিন্তু এর প্রতিবাদে সরকারের পক্ষ থেকে কোন জোড়ালো পদক্ষেপ নেয় হয়নি। বাংলাদেশের জনগণ সরকারের এই নতজানু পদক্ষেপ মেনে নেবে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক আফজাল এইচ খান, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন প্রমূখ।

এমএম/এএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।