শার্শায় পুত্রবধূর মামলায় শ্বশুর গ্রেফতার
যশোরের শার্শায় পুত্রবধূর দায়ের করা মামলায় শ্বশুর মেছের আলীকে (৫০) জুয়ার আসর থেকে গ্রেফতার করেছে শার্শা থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শার্শা উপজেলার বড় বসন্তপুর গ্রামের শামছুর রহমানের মেয়ে নিলা খাতুনকে ২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর একই উপজেলার পাড়িয়ার ঘোপ গ্রামের মেছের আলীর ছেলে আবুল হাসানের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। তাদের আব্দুল্লাহ নামের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। হাসান এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নিলাকে একাধিকবার মারপিট ও রক্তাক্ত যখম করে হাসপাতালে পাঠান। নিলার বাবা মেয়ের সুখের কথা ভেবে নিলাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে গ্রাম্য সালিশে আবুল হাসান স্ত্রীকে আর মারপিট, নির্যাতন ও যৌতুক দাবি করবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করে চলতি বছরের ৫ আগস্ট।
এরপর ১০ আগস্ট স্ত্রী ও সন্তানকে বাড়ি নিয়ে যান। ১০ দিন না যেতেই বাবা মেছের আলীর প্ররোচনায় ২০ আগস্ট পূর্বের ন্যায় মারপিট করে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা চালান হাসান। নিলা খাতুনকে মুমূর্ষ অবস্থায় বাগআঁচড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। অত্যাচারী স্বামীর হাত থেকে বাঁচার জন্য নিলা খাতুন শার্শা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে যশোর আদালতে পিটিশন মামলা (১৩৩/১৫) করলে আদালত শার্শা থানাকে এজাহার নিতে নির্দেশ দেন। পরে ৩১ আগস্ট শার্শা থানায় মামলা রেকর্ড হয়। মামলা নং-২৬।
মামলার পর আসামিদের আটকে থানা পুলিশ গড়িমসি শুরু করে। পরে আদালতের নির্দেশে পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি মেছের আলীকে বৃহস্পতিবার রাতে জুয়ার আসর থেকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক কবির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। ইতোমধ্যে মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি মেছের আলীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি হাসানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মো. জামাল হোসেন/এমজেড/পিআর