জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বুয়েটের ৪ শিক্ষার্থীকে সাজা
জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) চার শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে বুয়েট প্রশাসন। একই অভিযোগে আরো এক শিক্ষার্থীকে সতর্ক করেছে প্রশাসন।
সোমবার বিকেলে বুয়েট প্রশাসনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেয়া শাস্তির বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন বুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. দেলাওয়ার হোসাইন।
শাস্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন, ইকবাল মাহমুদ, তারেক রেজা, মোপ্পাক্কির ইসলাম রাফি, আতিকুর রহমান রিয়াজ।
এদের মধ্যে ইকবাল মাহমুদ, তারেক রেজা, মোপ্পাক্কির ইসলাম রাফিকে আজীবন বুয়েটের হল থেকে বহিষ্কার এবং আতিকুর রহমান রিয়াজকে এক টার্মের জন্য বাহিষ্কার করেছে প্রশাসন। এদিকে লুৎফুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতারা রোববার রাত দেড়টার দিকে কাজী নজরুল হলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। এসময় তারা ইকবাল ইবু নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করে। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী আরো আট শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এরপর বুয়েট উপাচার্য খালেদা ইকরামের সঙ্গে কথা বলে সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাদেরকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটককৃত নয় শিক্ষার্থী হলো কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক ছাত্র ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইকবাল ইবু, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের রাফি, ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের রিয়াদ, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের লুৎফর রহমান, তারিক রেজা এবং ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শুভ, ফয়সাল, মিনার, নাদিফ। এদের মধ্যে সাত জন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বাকি দুই জনের বিভাগ এখনো জানা যায়নি।
বুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. দেলাওয়ার হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, আটকদের কাছে বিভিন্ন জিহাদী বই এবং ল্যাপটপে বিভিন্ন বোমা তৈরির ভিডিও পাওয়া গেছে। আমরা আলামতগুলো ডিবিকে দিয়েছি তারা মঙ্গলবার পরীক্ষা করে আমাদের জানাবে।
এদিকে বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা ইকরাম বলেন, তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এমএইচ/এসকেডি/আরআইপি