প্রধান শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের রুল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:০৩ এএম, ০৮ আগস্ট ২০১৫

বরগুনার তালতলিতে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুন্দর আলীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টুসহ দোষীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছে উচ্চ আদালত। এ ঘটনায় নিরব ভূমিকা নেয়ায় তালতলী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হানিফ এবং ওসি বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তারও ব্যাখা চেয়েছে আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইসতিয়াক আহমেদের রিট আবেদনের পরিপেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হক এবং বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ গত রোববার এ আদেশ দেন। এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টুসহ তিনজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালতলী থানায় মামলা করা হয়েছে।

তবে ভুক্তভোগী শিক্ষক সুন্দর আলী অভিযোগ করে বলেন, মামলার বিবরণীতে তিনি যা লিখতে চেয়েছেন তার সব কিছু লেখা হয়নি। তিনি বলেন, ঘটনার আগে এবং ঘটনার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মিন্টু তার কাছে ষাট লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। মামলার বিবরণীতে তিনি তা লিখতে চেয়েছেন কিন্তু তালথলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তার তা লিখতে দেননি।

তালতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তার জানান, উচ্চ আদালতের আদেশ পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলা নেয়া হয়েছে এবং আলী আহমদ নামের একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বাদী সুন্দর আলীর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, সুন্দর আলী চাইলে তার যে কোনো বক্তব্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে দিতে পারবেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টু তালতলী বাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে জনসম্মুখে সুন্দর আলীকে টেনে হিচড়ে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে দীর্ঘ চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নির্মম নির্যাতন করেন।  এরপর থেকে তিনি প্রভাবশালী উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টুর ভয়ে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করতে সাহস পাননি।

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।