ঈশ্বরদী ডাল গবেষণা কেন্দ্রে শ্রমিকদের বিক্ষোভ


প্রকাশিত: ১১:৫৪ এএম, ০৬ আগস্ট ২০১৫

ঈশ্বরদী ডাল গবেষণা কেন্দ্রে ৮৬ জন শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ডাল গবেষণা কেন্দ্রে শ্রমিকরা লাঠি-সোটা নিয়ে এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ৪/৫ দিন আগে নোটিশ দেয়ার নিয়ম থাকলেও নোটিশ না দিয়ে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নীতিমালায় ৩ বছর মাস্টাররোলে চাকরি করলে তাদের স্থায়ীকরণের বিধান রয়েছে। অথচ অনেকেই ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করলেও চাকরি স্থায়ী করা তো দূরের কথা ছাঁটাই করা হয়েছে। ছাঁটাইয়ের আগে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কোনো আলোচনাও করা হয়নি বলে জানান তিনি।

শ্রমিক সমিতির সভাপতি সকিম উদ্দিন জানান, ডাল গবেষণা কেন্দ্রের মহাপরিচালক রফিকুল ইসলাম মন্ডলের স্বাক্ষরে এসকল অনিয়মিত ও মাস্টাররোলে শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মহাপরিচালক পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এরা কাজ করবে বলে উল্লেখ থাকলেও অধঃস্তন কর্মকর্তা এই ৮৬ জনকে ছাঁটাই করায় এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ সময় অরোণকোলা গ্রামের তারেক বিশ্বাস, চরমিরকামারি গ্রামের আইয়ুব আলী, সিরাজগঞ্জের রুহুল আমিনসহ আরো অনেকেই জানান, চাকরি স্থায়ী করা হবে এই কথা শুনে তারা পঞ্চাশ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন।

শ্রমিকরা বলেন, ফান্ডে টাকা নেই এজন্য ইতোপূর্বেও পরিচালক শোয়েব হাসান শ্রমিক ছাঁটাইয়ের উদ্যোগ নিলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ উক্ত কর্মকর্তাকে ছাঁটাই না করার জন্য বললেও তিনি ছাঁটাই করে ঈশ্বরদী ত্যাগ করেছেন।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার পরিচালক শোয়েব হাসানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ছাঁটাই কথাটি ঠিক নয়। শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়নি। ফান্ডে টাকা না থাকায় সাময়িকভাবে তাদের কাজ বন্ধ করা হয়েছে। টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থার জন্যই আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। টাকা পেলে কাল থেকেই তারা কাজ করতে পারবে বলে তিনি জানান।

চাকরি স্থায়ীকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই কেন্দ্রে দুটি কোটায় ৮৫টি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এখানে কোনো পদ খালি নেই। কেউ অবসরে গেলে তখন স্থায়ী করা যাবে বলে তিনি জানান।

আলাউদ্দিন আহমেদ/এসএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।