গাজীপুরে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু : চিকিৎসকসহ গ্রেফতার ২


প্রকাশিত: ১২:০৩ পিএম, ০৮ জুলাই ২০১৫

গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় ভুল চিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে সেবা ক্লিনিক নামের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ স্বজন ও স্থানীয়রা। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে ক্লিনিকের এক চিকিৎকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন, চিকিৎসক মো. শাহিন রেজা ও ক্লিনিকের ওয়ার্ডবয় মো. তরিকুল ইসলাম।

মামলার বাদীর বরাত দিয়ে টঙ্গী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাসেম মাতবর তার অন্তঃসত্বা পুত্রধূকে ডেলিভারির জন্য ওই ক্লিনিকে ভর্তি করেন। এসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে নবজাতকটি মারা যায়। এরপর নবজাতকটিকে দাফন শেষে দাদা আবুল কাসেম মাতবরের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টার দিকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে স্বজনরা আবুল কাসেমকে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে তার স্বজনরা অবস্থা বেগতিক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজে না নিয়ে ওই সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করেন। ভর্তির কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক শাহিন রেজা তাকে স্যালাইনের সঙ্গে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। এর কিছুক্ষণ পর কাসেম রাত ১০টার দিকে সেখানেই মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা দাবি করেন, চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসা ও কর্তব্য অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে এর ঠিক এক ঘণ্টা পর ওই নবজাতকের দাদা আবুল কাসেম মাতবরের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা গভীর রাতে হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে রাতেই নিহতের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম কালু টঙ্গী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক মো. শাহিন রেজা ও ওয়ার্ডবয় মো. তরিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। নিহতের স্বজনরা ওই চিকিৎসকসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। যাতে ভুল চিকিৎসায় অন্য কারো প্রাণ হারাতে না হয়।

মো. আমিনুল ইসলাম/এমজেড/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।