তিন কোটি টাকার দাবিতে অপহরণ : আটক ৮


প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ০৪ জুলাই ২০১৫

রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে অপহৃত ইমরান হোসেনকে (১৮) উদ্ধার ও অপহরণকারী চক্রের মূল হোতাসহ ৮ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গতকাল থেকে শনিবার ভোর রাত পর্যন্ত রাজধানী  ও এর আশ পাশের জেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি জাহাঙ্গির হোসেন মাতুব্বর।

আটকরা হলেন অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা সাইদ হোসেন রনি, ইমরান হোসেন (২২), নুরুল ইসলাম ওরফে রবিন (২০), আব্দুল্লাহ রাহিম ওরফে সবুজ (২১), জুয়েল মিয়া (২২), গোলাম হোসেন ওরফে রাকিব (২০), তানজিদ সিকদার ওরফে প্রান্ত (২০), এবং বাপ্পি।

তিনি জানান, বংশালের রওজা এলাকায় হাবিব টাওয়ারের সামনে থেকে গত ২ জুলাই রাতে অপহরণের শিকার হন স্থানীয় আসলাম হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন। অপহরণকারী সাইদ হোসেন ওরফে রনি কৌশলে অপহরণ করে বংশালের ৯২ আগা-সাদেক রোড এলাকার নির্মাণাধীন হাবিব টাওয়ার ভবনের ৮ম তলায় একটি কক্ষে আটকে রাখে।  

অন্যদিকে ইমরানকে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে চাচা আতিকুর রহমান পর দিন বংশাল থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

একই ঘটনায় তিনি র‌্যাব-১০ লালবাগ ক্যাম্পে মৌখিক অভিযোগ করেন দুটি গ্রামীনফোন এর নাম্বার থেকে কল দিয়ে তিন কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। মুক্তিপণ না দিলে ছেলেটিকে মেরে ফেলা হবে।
 
এরই ধারাবাহিকায় র‌্যাব-১০ লালবাগ ক্যাম্পের একটি দল শুক্রবার সকালে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানাধীন জিঞ্জিরা ফেরীঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা রনিকে আটক করে।
 
পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপি’র বংশালের পাকিস্তান মাঠ এলাকা থেকে বিকেল ৫টায় এবং এবং আজ (শনিবার) ভোর রাত তিনটার দিকে অন্যদের আটক করা হয়।
 
র‌্যাব-১০ সিও আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে তাদের থানায় পাঠানো হয়েছে।

জেইউ/এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।