একে খন্দকারের বই নিষিদ্ধ হবে না কেন : হানিফ


প্রকাশিত: ১০:১২ এএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪

তসলিম নাসরিন এর বই নিষিদ্ধ করা হলে একে খন্দকারের ‘৭১এর ভিতরে বাইরে’ বই কেন নিষিদ্ধ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। রোববার সকাল সাড়ে দশটায় নিজ বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, তসলিমা নাসরিন এর বই ছিল ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার। আমাদের দেশে ধর্মীয় অনুভুতিতে কেউ আঘাত হানুক আমরা সেটা চাই না। ফলে ঐ সময় তসলিমা নাসরিনকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল তার নিরাপত্তার জন্য। আর একে খন্দকার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি প্রবীন মানুষ, বৃদ্ধ মানুষ। ঐ বইতে তিনি নিজেই লিখেছেন বয়সের কারনে তার স্মৃতিভ্রষ্ট হয়েছে। যার ফলে অনেক কিছুই আর মনে আসে না, মনে থাকে না, স্মরণও করতে পারেন না। আমরা বিশ্বাস করি এটা একে খন্দকারের বক্তব্য নয়। একে খন্দকারের স্মৃতিভ্রষ্টের কারনে পরিকল্পিতভাবে বই লিখিয়ে কেউ তাকে দিয়ে সই করিয়ে নিয়েছে। এই বই রচনা করেছে অন্য কেউ।

হানিফ বলেন, বইতে ঘুরেফিরে শুধু ৭১’ সালের রাজনৈতিক ব্যার্থতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। বইতে কোন তথ্য-প্রমান, যুক্তি কোন কিছুই নেই। কাল্পনিকভাবে আওয়ামী রাজনীতির ব্যার্থতা তুলে ধরা হয়েছে।

হানিফ আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে শুধু পাকিস্তান নয় পাকিস্তানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোও ছিল। যুদ্ধের সময় আমাদের বিজয় যখন দ্বারপ্রান্তে তখন জাতিসংঘে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব উঠেছিল। সে সময় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এটা ভেটো দিয়েছিল বলে প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। প্রস্তাব যদি অনুমোদিত হত তাহলে আমাদের যুদ্ধ থেমে যেত দেশ স্বাধীন হত না। ৭১’সালের প্রতিশোধ নিতে ৭৫’সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল সেখানেও পশ্চিমা শক্তি মদদ দিয়েছিল। ৭১’র পরাজিত শক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দেখতে চাই না।  তারা মুক্তিযদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে, আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট করে দেয়ার জন্য এই চক্রান্ত বারবার করে আসছে। এটি তারই একটি ধারবাহিকতার অংশ হতে পারে।

হানিফ একে খন্দকারের বই নিয়ে দেয়া অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য সর্ম্পকে বলেন, একে খন্দকারের বই নিয়ে অর্থমন্ত্রী ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছে। এটি দলীয় মতামত না। দলীয় সিদ্ধান্ত কি হয় তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ বদরুদ্দোজা গামা, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী প্রমুখ।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।