বন্যায় জম্মু ও কাশ্মীরে নিহত ৯০
জম্মু ও কাশ্মীরের বন্যাপরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। চার দিনের এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০। শুক্রবারই মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।
শ্রীনগরের সুখনাক এবং বিষ্ণুনালার পানিতে ভেসে গিয়েছেন বহু মানুষ। কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই হরপাবানের প্রভাবে। প্রায় ৬০টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷
জাতীয় সড়কের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে ৩০টি সড়ক। ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান। নিকটবর্তী হাসপাতালও ঘুরে দেখেন তিনি।
এই হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বহু মানুষ। গত বৃহস্পতিবার এই দুর্ঘটনায় ওই বাসের ৪৫ জন যাত্রীরাই পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। তল্লাশি চালিয়েও বর এবং নববধূ-সহ ৪০ যাত্রীরই কোনো হদিস মেলেনি।
বৃষ্টি-বন্যায় এদিন পুঞ্চ এবং রিয়াসিতে আরো ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এর ফলে গত দুদিনে ২৫ জনসহ এ পর্যন্ত উপত্যকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ৭০।
এদের মধ্যে বলবীর সিং নামে এক সেনা-জওয়ানও রয়েছেন। উারকার্য চালানোর সময় জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছিল। বন্যা ও ধসে যাওয়ার পথ ভেসে যাওয়ায় মাতা বৈষেদেবী গুহামন্দিরে যাত্রা এদিন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখানে ধসে জখম হয়েছেন তিনজন।
এদিকে, দুদিনের সফরে শুক্রবারই ভূস্বর্গে পা রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেনাসূত্রে খবর, বরযাত্রীবোঝাই বাসটিতে মোট ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। লাম-দরহল-মৌশেরা সড়ক পেরনোর সময়ই গম্ভীর নদী উপচে আসা হড়পা বানের তীব্র স্রোতে বেসামাল হয়ে ভেসে যায় বাসটি।