ছোট্টমনির দুধদাঁতের যত্ন


প্রকাশিত: ০৯:৪৭ এএম, ২৩ মার্চ ২০১৫

নবজাতকের চার থেকে আট মাসের মধ্যে দাঁত উঠতে শুরু করে। আস্তে আস্তে পুরো মাড়ির দাঁত উঠে যায়। পরে ছয় থেকে আট বছরে এসব দাঁতের স্থানে স্থায়ী দাঁত ওঠে। জন্মের পর থেকেই শিশুর দাঁত ও মাড়ির যত্ন নিতে হবে। অযত্নে দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে উঠতে পারে, হতে পারে ইনফেকশন। পরবর্তীকালে সুস্থ দাঁতের জন্যও দুধদাঁতের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন-

১. দুধ বা অন্য কিছু খাওয়ার পর পরিষ্কার আঙুল বা পাতলা কাপড় দিয়ে মুখের ভেতর, মাড়ি ও দাঁত পরিষ্কার করে দিতে হয়। বোতলের দুধ খেলে শিশুর দাঁত ক্ষয় হয়। রাতে বোতলে দুধ না খাইয়ে শেষ খাওয়ার পর বিশুদ্ধ পানি খাওয়াতে পারেন। এতে দাঁত ভালো থাকে।

২. শিশুর দাঁত উঠতে শুরু করলে মাড়িতে কিড়মিড় করে, অস্বস্তি লাগে বা ব্যথা করে। এ জন্য নরম কিছু কামড়াতে দেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে এমন নরম কিছু দিন, যাতে দাঁত ধারালো হয়।

৩. শিশুর বয়স এক থেকে দেড় বছর হলেই তাকে দাঁত ব্রাশ করা শেখাতে হবে। সন্তানকে পাঁচ-সাত বছর বয়স পর্যন্ত নিজের সঙ্গে নিয়েই ব্রাশ করান, এতে তার অভ্যাস গড়ে উঠবে। শোয়ার আগে ও সকালের নাশতার পর ব্রাশ করা ভালো। লক্ষ্য রাখবেন, ব্রাশ যাতে নরম থাকে। ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট সবচেয়ে ভালো, কারণ এটি দাঁতের আবরণ এনামেল গঠনে সাহায্য করে।

৪. শিশু যেন টুথপেস্ট খেয়ে না ফেলে। একটু-আধটু খেলে সমস্যা নেই, কিন্তু নিয়মিত খেলে দাঁতে ছোট ছোট দাগ হয়ে দাঁতগুলো কদাকার দেখায়।

৫. পাঁচ-ছয় বছরের নিচে ফ্লোরাইডসমৃদ্ধ টুথপেস্ট ব্যবহার না করাই ভালো। এসএলএসসমৃদ্ধ টুথপেস্ট থেকেও সাবধান, এগুলো মুখের ক্ষতের জন্য দায়ী।

৬. শুধু দাঁত ব্রাশ করালেই হবে না, এর নিয়মকানুনও জানাতে হবে। যেমন- ব্রাশ করার সময় শুধু সামনের দাঁতগুলো ব্রাশ করলে হবে না, সব দাঁতই ব্রাশ করতে হবে। ব্রাশ করার সময় জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে।

৭. শিশুর দাঁতের প্রধান শত্রু চকোলেট, চুইংগাম ও মিমি। মিষ্টিজাতীয় এসব খাবারে দাঁত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, মাড়ি ছিদ্র হয়ে যায়। তাই এসব পরিহার করতে হবে। প্রতিবার মিষ্টিজাতীয় খাবার গ্রহণের পর দাঁত পরিষ্কার করা উচিত।

৮. দাঁতের যত্নে ফলমূল, শাকসবজি, পর্যাপ্ত পানি ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কেমিক্যাল, সুগন্ধি ও মাউথওয়াশ ব্যবহার না করা ভালো, এতে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে।

৯. সন্তানের বয়স এক বছর হলেই তাকে নিয়মিত দাঁতের ডাক্তার দেখাতে হবে। এভাবে বছরে অন্তত দুইবার ডাক্তার দেখানো উচিত।

১০. শিশুর দুধদাঁত নড়ে গেলে তা টেনে তোলা উচিত নয়। হালকা নড়লে যদি উঠে যায় তো ভালো, নয়তো কাছের ডেনটিস্টের কাছে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

এইচএন/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।