কোকোর দাফন সম্পন্ন


প্রকাশিত: ০১:২৬ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৫

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৫ টা ৫৪ মিনিটে বনানী কবরস্থানের ১৮৩৮/১৪৭ নম্বর কবরে তাকে দাফন করা হয়। দাফনের সময় বিএনপি র্শীষ পর্যায়ের নেতারা ছাড়াও দলের অন্যান্য স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বাদ আসর সম্পন্ন হয় আরাফাত রহমান কোকোর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। মঙ্গলবার বাদ আসর ৫টা ১২ মিনিটে অনুষ্ঠিত নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।

এর আগে গুলশান কার্যালয় থেকে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে কোকোর মরদেহ বহনকারী আলিফ মেডিক্যাল সার্ভিসেস এম্বুলেন্সটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে এসে পৌছায়।



দুপুরের পর থেকেই বায়তুল মোকাররমে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে সাধারণ মানুষ জড়ো হতে থাকে। জোহরের নামাজের পর থেকেই হাজার হাজার মানুষ কোকোর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সমবেত হয় মসজিদ প্রাঙ্গনে। বায়তুল মোকাররম মসজিদ ছাড়িয়ে উত্তর ও দক্ষিণ পার্শ্বের রাস্তায়ও দাড়ানোর ঠাঁই ছিল না। মরদেহ আসার আগেই জনতার ঢল নামে বায়তুল মোকাররমে।

জানাজায় অংশ নিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রায় সবাই বায়তুল মোকাররমে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ ছাড়াও সর্বস্তরের জনগণ বায়তুল মোকাররম এলাকায় সমবেত হন।



জানাজা শেষে কোকোর মরদেহ মসজিদের পূর্ব চত্বরে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়। বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের নির্দেশে সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া দৈনিক বাংলা মোড় থেকে পল্টন মোড় দিয়ে রাস্তায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে আলিফ মেডিকেল সার্ভিসের এ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ গুলশান কার্যালয়ে আনা হয়।



গুলশান কার্যালয়ে মা খালেদা জিয়া ছেলের মুখ শেষবারের মতো দেখেন এবং আদর করেন। পরে ছেলের জন্য মা দোয়া করেন। এরপর অশ্রুসিক্ত নয়নে মা ও স্বজনেরা কোকোকে শেষ বিদায় জানান।

২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আরাফাত রহমান কোকো মালয়েশিয়ায় হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের জাতীয় মসজিদ নাগারায় রোববার দুপুরে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মামা শামীম এস্কান্দারসহ স্বজনেরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে কোকোর মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে মঙ্গলবার সারাদেশে মিলাদ মাহফিল ও গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এমএম/জেইউ/এসআই/এএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।