আর্ন্তজাতিক মানবপাচার চক্রের সদস্য আমিন এখন বাংলাদেশে


প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৫

সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারে মুল নিয়ন্ত্রণকারি হিসেবে সনাক্ত হওয়া আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারি চক্রের ১১ সদস্যের একজন এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।

পুলিশ হেডকোয়ার্টাসের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে সনাক্ত এ আর্ন্তজাতিক চক্রের সদস্য এখন চট্টগ্রামে তার এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে আর্ন্তজাতিক চক্রের সদস্য টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রী পাড়ার জলিলুর রহমানের ছেলে মালয়েশিয়ায় বসবাসকারি আবদুল আমিন চট্টগ্রামে অবস্থান করে শীর্ষ দালালদের নিয়ে গোপন বৈঠক করছেন।

সম্প্রতি পুলিশ হেডকোয়ার্টাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বনজ কুমার মজুমদারকে প্রধান করে মানবপাচার বিষয় তদন্ত কমিটি গঠণ করে। কমিটি দেড় মাস নানা অনুসন্ধান শেষে পুলিশ সদর দফতরে ১৮ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

১৮ পৃষ্ঠার ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারি চক্রের ১১ সদস্য ভয়াবহ এ মানবপাচারে জড়িত রয়েছে। এরা হল, থাইল্যান্ড এর ফুডাবা জেলার রোনাং থানার থাংগুর ছেলে মং, চে’র ছেলে থেন, মিয়ানমারের চট্ট জেলার চট্টবার পাড়ার মৃত আবদুল মাবুদের ছেলে আবদুল গফুর, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রী পাড়ার জলিলুর রহমানের ছেলে বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বসবাসকারি আবদুল আমিন, একই এলাকার মৃত ফজল হকের ছেলে মালয়েশিয়ায় বসবাসকারি আকতার হোসেন মাঝি, মৃত সুলতান আহাম্মদের ছেলে মিয়ানমারে বসবাসকারি দিন মোহাম্মদ, টেকনাফের দক্ষিণ নয়াপাড়ার আবদুল হাশিমের ছেলে স্বপরিবারের মালয়েশিয়ায় বসবাসকারি আনার আলী, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালীর দুধু মিয়ার ছেলে স্বপরিবারের মালয়েশিয়ায় বসবাসকারি সলিম উল্লাহ, উখিয়া উপজেলার থাইংখালীর মৃত মৌলানা আবদুল করিমের ছেলে স্বপরিবারের মালয়েশিয়ায় বসবাসকারি মো. সুমন। এদের সাথে থাইল্যান্ডের মানাকিং নামের এক নারী জড়িত হয়ে মানবপাচারের ঘটনাটি শক্তিশালী করে। এ আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারি চক্রের অর্থায়নে রয়েছে ২৬ জন। যারা বাংলাদেশের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বসে মানবপাচারের মতো ভয়াবহ এ বিষয়ের অর্থ লেনদেনে সহায়তা করছে।

পুলিশের এ প্রতিবেদন সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় ইতিমধ্যে চলছে নানা তোলপাড়। এর মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থান করছে আর্ন্তজাতিক চক্রের সদস্য আবদুল আমিন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত ১৫ ডিসেম্বর মালয়েশিয়া থেকে থাইল্যান্ড হয়ে বাংলাদেশে আসে এ ব্যক্তি। বাংলাদেশের পাসপোর্ট বহনকারি নুরুল আমিন তার নাম ও বাবার নাম ঠিক রাখলেও পাসপোর্টটিতে ঠিকানা ব্যবহার করেছেন ঢাকা। বাংলাদেশে পৌঁছার পর তিনি চট্টগ্রাম শহরে তার এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

মানবপাচারে জড়িত কয়েকজন দালালের দেয়া তথ্য মতে, চট্টগ্রামের খুলশী ও জুবলী রোড় সংলগ্ন রয়েছে নুরুল আমিনের আত্মীয়ের নিজস্ব অফিস। ওখানে গোপনে মানবপাচারের নতুন কৌশল নিয়ে বৈঠকও করছেন এ ব্যক্তি। তার নেতৃত্বে পরিচালিত শীর্ষ দালাল টেকনাফের লম্বরীর মধু তৈয়ুব, হ্নীলার শাহ আলম, দুদু মিয়া, তৈয়ুব, সাবরাং এর আবদুল গফুর, হামিদ, সিদ্দিক, শাহপরীর দ্বীপের আবদুস শুক্কুর, মো. হোসেনসহ কয়েকজন দালাল ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে  তার সাথে গোপন বৈঠকও করেছেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।