জেদ ছিল ফিরতেই হবে: আল-আমিন


প্রকাশিত: ০১:৫২ পিএম, ১৯ মে ২০১৬

আল আমিন হোসেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার। উইকেট পাওয়ার পর অদ্ভূত উদযাপন ভঙ্গির জন্য বেশ পরিচিত। পারফরমার হিসেবেও দারুণ সফল। তবে ২০১৩ সালে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি এবং ২০১৪ সালে ওয়ানডে অভিষেক। কিন্তু ছোট্ট এই ক্যারিয়ারে কম ঝড়-ঝাপটা যায়নি তার ওপর দিয়ে। বোলিং অ্যাকশনে সন্দেহ, এরপর পরীক্ষা দিয়ে সেই সন্দেহ দুর করা, বিশ্বকাপের মাঝপথে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে আসার মত বড় বড় ধাক্কা খেতে হয়েছে তাকে।Special

তবুও আল-আমিন দমে যাননি। স্বমহিমায় আবারও ফিরে এসেছেন দলে। বরং যেন তার বোলিংয়ে ধার বেড়ে গেছে আরও কয়েকগুণ। নতুন বলে তো বলতে গেলে বেশ ভয়ঙ্কর। বিপিএল, জিম্বাবুয়ে সিরিজ, এশিয়া কাপ কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আল-আমিন নিজেকে প্রমাণ করেছেন কতটা কার্যকরি তিনি। পারফরম্যান্স দিয়ে শুধু অধিনায়ক আর নির্বাচক নয়, আস্থা অর্জন করে নিয়েছেন সমর্থকদেরও।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই পেসারের মুখোমুখি হয়েছে জাগো নিউজ২৪.কম। সাক্ষাৎকারে চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগছাড়াও নিজের ক্যারিয়ার, কঠিন সময়গুলোর অভিজ্ঞতা, ফিরে আসার বর্ণনা, আইপিএলে মুস্তাফিজের খেলা- সবই বলেছেন এই সাক্ষাৎকারে। আল-আমিনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাগো নিউজের ক্রীড়া প্রতিবেদক রামিন তালুকদার এবং রুশাদ রাসেল। আল-আমিনের সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য...

প্রশ্ন: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডানের বিপক্ষে ভালো বোলিং করেছেন এবং পুরো টুর্নামেন্টেই অসাধারণ বোলিং করেছেন। ডিপিএলে নিজের পারফর্মেন্স নিয়ে কী আপনি সন্তুষ্ট?
আল-আমিন: সব মিলিয়ে ভালোই। ৭ ম্যাচ খেলে ১৩ উইকেট পেয়েছি। স্লো ট্র্যাক অনেক। যখনই বোলিং করছি সব সময় দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি; কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আমার পারফর্মেন্স আরো ভালো হওয়ার দরকার ছিল। ৭ ম্যাচে যদি ১৬-১৭টি উইকেট পেতাম তাহলে হয়তো ভালো হতো। এখানে ৪-৫টি উইকেট কম আছে। সব মিলিয়ে ভালোই চলছে তবে আরো ভালো করা উচিত ছিল।

প্রশ্ন: ডিপিএলে এবার উইকেটগুলো পেস বোলারদের কেমন সহায়তা করছে?
আল-আমিন: আসলে এখন তো অনেক গরম। মিরপুরে খেলা হলে তেমন কোন সমস্যা হয় না; কিন্তু ফতুল্লা এবং বিকেএসপিতে উইকেটগুলো একদমই স্লো ট্র্যাক এবং ব্যাটসম্যান সহায়ক। এমনকি স্পিন সহায়কও না। আমার মনে হয়, এসব উইকেটে যদি ক্রিকেট খেলা হয় তাহলে এখান থেকে যে ব্যাটসম্যানটি বের হবে সে যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পায়, তাহলে তার টিকে থাকা কষ্টকর হবে। উইকেটে বোলারদের জন্য কিছুই থাকছেন। ব্যাটসম্যানরা শুধু রান করেই যাচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, উইকেটগুলো আরো স্পোর্টিং হওয়া উচিত।

প্রশ্ন: ডিপিএলের উইকেট যে পেস সহায়ক হচ্ছে না, এটার কারণ কি?
আল-আমিন: এটা হয়তোবা আবহাওয়ার কারণেও হতে পারে। কারণ, এই গরমে পেস বোলিং ট্র্যাক করা একটু কষ্টকর। পেস বোলিং ট্র্যাক বলেন আর স্পিন বোলিং ট্র্যাক বলেন, আমার মনে হয় স্পোর্টিং উইকেট হওয়া উচিত। বোলার যারা ভালো বোলিং করবে তারা সহায়তা পাবে, ব্যাটসম্যান যারা ভালো খেলতে পারবে তারা রান করতে পারবে।

প্রশ্ন: আইপিএলে মুস্তাফিজের খেলা তো দেখছেন, কেমন লাগছে?
আল-আমিন: খুব ভালো লাগছে। কলকাতা এবং সানরাইজার্সের খেলা হলেই দেখি। ও অনেক প্রতিভাবান বোলার। ও আমাদের জন্য বড় সম্পদ। আশা করি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ওর আরো যত্ন নেবে। সে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিতে পারবে। কারণ ও হচ্ছে ম্যাচ উইনিং বোলার। এরকম বোলার থাকলে ভবিষ্যতে আমাদের অনেক ম্যাচ জেতা সম্ভব।

প্রশ্ন: আপনারা দুজনই স্লোয়ার বলগুলো করেন শেষের দিকে। সে ক্ষেত্রে মুস্তাফিজের বোলিং এবং আপনার বোলিং- এ দুটোর মাঝে কি রকম পার্থক্য রয়েছে?
আল-আমিন: আসলে দুজনের বৈচিত্র্য একরকম নয়। অনেকে ইয়র্কার দেয়, অনেকে স্লোয়ার দেয় বা অনেক সময় বাউন্সার দেয়; কিন্তু ওর স্লোয়ারটা একটু ব্যাতিক্রম। সাধারণত আমরা স্লোয়ার বলগুলো যে গ্রিপটাতে করি, ও এগুলোর থেকে আলাদা। সবাই অফ কাটার, লেগ কাটার করে; কিন্তু সবারটা বোঝা গেলেও ওরটা বোঝা যায় না।
 
প্রশ্ন: মুস্তাফিজের খেলা ছাড়াও আপনি বললেন কলকাতার খেলা দেখছেন, সাকিবের খেলা কেমন লাগছে?
আল-আমিন: আসলে সাকিব ভাইর খেলা সব সময়েই ভালো লাগে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, সাকিব ভাইকে কম সুযোগ দেয়া হচ্ছে। দেখবেন কোন ম্যাচে শেষের দিকে নামছে, আবার কোন ম্যাচে শুরুরদিকে। বোলিংয়েও তাকে পুরো চার ওভার করানো হচ্ছে না। কিংবা যখন দরকার তখন তাকে বোলিংয়ে আনছে না। হয়তোবা তাদের দলের কৌশলটাই ওইরকম।

প্রশ্ন: বিপিএলে দুর্দান্ত সময় পার করেছেন। বিপিএলের পরেই আপনি বাংলাদেশ দলের মূল বোলার হয়ে গেছেন অনেকটা। মুস্তাফিজ অবশ্যই ব্যতিক্রম; কিন্তু আপনার এই যে পরিবর্তন এটার বিশেষ কোন কারণ কি আছে?

আল-আমিন: আমার অভিষেক হয়েছে ২০১৩ সালে। এরপর থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের হয়ে সব ফরম্যাটেই প্রায় নিয়মিত দলে রয়েছি। এর ভেতর বিশ্বকাপ খেলতে গেলাম। বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে আইসিসি বোলিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল; কিন্তু সেটাতে ভালোভাবেই উৎরলাম। পরে যখন বিশ্বকাপ খেলতে গেলাম তখন দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হলো। তারপর বাংলাদেশ ৮-৯ মাস যে ভালো ক্রিকেট খেলছে এই সময়টায় আমি একদমই বাইরে ছিলাম ক্রিকেট থেকে।

আসলে একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার যখন পারফর্মেন্স ছাড়া অন্য কোন কারণে দল থেকে বের হয়ে যায়, এটা আসলেই সবথেকে বড় কষ্ট এবং যন্ত্রণাদায়ক। তারা সবাই খেলছে অথচ আমি খেলতে পারছি না। যেখানেই যেতাম সামাজিকভাবে বলেন আর পারিপার্শ্বিক দিক দিয়ে বলেন সবাই জিজ্ঞেস করতো ‘কেন খেলছি না?’ এছাড়াও নানারকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো। যখন বাংলাদেশের খেলা চলতো তখন সে খেলাটা ঘরে বসে টিভিতে দেখাটাও অনেক কষ্টদায়ক ছিল।

ওই সময় তাসকিন ভালো করতেছিল, রুবেল ছিল, মুস্তাফিজ তখন নতুন আসছে এছাড়া মাশরাফি ভাইও ছিল। ৭-৮ মাস আগেও আমি দলের প্রথম বা দ্বিতীয় পেসার ছিলাম সেখান থেকে এই দীর্ঘসময় পরে এসে দেখি অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছি।

কিভাবে নিজের জায়গাটা পুনরুদ্ধার করা যায়, এটা নিয়ে তখন থেকেই একটা জেদ কাজ করছিল মনের ভেতর। যখনই সুযোগ পাবো নিজেকে এমনভাবে মেলে ধরবো যেন দল থেকে আর ছিটকে না পড়ি। যখন জিম্বাবুয়ে এখানে আসছে তখন তাদের বিপক্ষে ভালো বোলিং করেছি। তারপর বিপিএল গেল, এশিয়া কাপ গেল, টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ গেল।

দলে প্রতিযোগিতা এখন অনেক বেশি। এখানে টিকে থাকতে হলে এমন কিছু করতে হবে যাতে কেউ আপনাকে অবজ্ঞা না করতে পারে। ওই জিনিসটা সব সময়ই কাজ করেছিল আমার ভেতর। সব সময়ই মনেকরি এটাই বোধহয় আমার শেষ ম্যাচ, তাই শেষ ম্যাচে আমার ভালো খেলতে হবে। তারপরে হয়ত চান্স পাবো না। এই জিনিসটাই সবসময় আমার ভেতর কাজ করে। আমি যখনই খেলবো শতভাগ দিবো, যাতে দল আমার থেকে কিছু পায় এবং আমিও দলকে কিছু দিতে পারি।

প্রশ্ন: দলে তো এখন বেশ কয়েকজন পেসার রয়েছে। শুধু আপনি না, সব পেসারদের দলে টিকে থাকতে হলে কি রকম চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা উচিত?
আল-আমিন: ক্রিকেট এমন একটি খেলা, যেই খেলুক তাকে তার পুরোটা দিয়েই খেলতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ এখন ক্রিকেট বোঝে। দলের কোন বোলার খারাপ বললেই বাইরে মানুষ অনেক কথা বলে। কেউ খারাপ করলে আরেকজনকে আনার চিন্তা করে। প্রতিটা খেলোয়াড় যখন খেলে সবাই সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করে। এটা পেস বোলারদের জন্যেও। সব সময়েই সাফল্য ধরা দেবে না। মাঝে মাঝে আপনার অফ ফর্ম যাবে। সেই অফ ফর্মকে ধরে রাখলে চলবে না।

প্রশ্ন: আপনার প্রিয় ক্রিকেটার কে?
আল-আমিন: মাশরাফি ভাই।

প্রশ্ন: ছোটবেলায় তো তেমন ক্রিকেট দেখার সুযোগ ছিল না। তো কিভাবে সেই সময়টায় বেড়ে উঠেছেন?
আল-আমিন: আগে তো বিটিভি ছাড়া খেলা দেখার তেমন সুযোগ ছিল না। মাশরাফি ভাইর বোলিংটা অনেক উপভোগ করতাম। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলতাম। মাশরাফি ভাইর বোলিং দেখে দেখে বড় হয়েছি। স্বপ্ন ছিল কোন একদিন যদি মাশরাফি ভাইর সাথে বোলিং করতে পারতাম! ছোটবেলায় আশরাফুল ভাইর ব্যাটিংটাও ইনজয় করতাম। তাছাড়া সুমন ভাইর (হাবিবুল বাশার) ব্যাটিংও অনেক ভালো লাগতো।
 
প্রশ্ন: বিশ্বকাপের সময় যখন দল থেকে বের হয়ে গেলেন, এরপরের সময়টায় মাশরাফি ভাই কি রকম সাপোর্ট দিয়েছিল আপনাকে?
আল-আমিন: যখনই মাশরাফি ভাইর সাথে দেখা হতো, সবসময়ই বলতো, এটা কোন ব্যাপার না। মানসিকভাবে অনেক সাপোর্ট দিতো। বলতো, যখন তখন তুই চলে আসবি। তুই ভালো বোলার। ভালো করে অনুশীলন কর। ঘরোয়া যে লিগগুলো আছে সেখানে ভালো কর। ‘এ’ টিমে যখন সুযোগ পাই তখনও বলেছে, অনেকদিন মাঠে ছিলি না, এই জায়গাটা চেষ্টা কর কিভাবে ধরে রাখা যায়। এসব কথা যখন একটা দলের অধিনায়ক বলে তখন মনটা অনেক বড় হয়ে যায়।
 
প্রশ্ন: আপনার ক্যারিয়ার সেরা উইকেট কোনটি?
আল-আমিন: টেস্টে সাঙ্গাকারার উইকেট।

প্রশ্ন: কোন বোলিং স্পেলটি আপনি সব থেকে বেশী উপভোগ করেছেন?
আল-আমিন: জিম্বাবুয়ের সাথে শেষ টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট পেয়েছিলাম। প্রথম চার ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেলাম। শেষ ওভারে ম্যাচ জয়ের জন্য ওদের ১৮ রান দরকার ছিল, সেই ম্যাচ হেরে গেছিলাম। ওই ম্যাচে জিতলে হয়ত ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়ে যেতাম। কিছুটা আক্ষেপ রয়ে গেছে; কিন্তু ইটস এ পার্ট অফ গেম।
 
প্রশ্নঃ বিপিএলে বরিশাল দলটা অন্য দলগুলোর মত অতটা শক্তিশালী ছিল না। আপনার বোলিংয়ের উপর নির্ভর করেই অনেকাংশে ফাইনালে উঠেছে বরিশাল। ওই পারফরম্যান্সটাকে কিভাবে দেখছেন?
আল-আমিন: আমাদের খুব ভালো একজন অধিনায়ক ছিল। রিয়াদ ভাই খুব, ভালো মানুষ। আমরা যারা ছিলাম, সবাই খুব ভালো করেই জানতাম আমাদের শক্তি সম্পর্কে। কোচ গ্রাহাম ফোর্ডও আমাদের অনেক ভালো সহায়তা করেছেন, সেরাটা বের করে আনতে। সব মিলিয়ে বিপিএলটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল।
 
প্রশ্ন: বিপিএলে নিজের করা হ্যাটট্রিকটি সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন... মুশফিক ভাইকে ইনসুইংয়ে যেভাবে বোল্ড করেছিলেন...
আল-আমিন: আসলে মুশফিক ভাইর বোল্ড হওয়া বলটাই কেবল উইকেট পাওয়ার মত ছিল। বাকি দুইটার একটা ব্যাটে লেগে বোল্ড হয়েছে আরেকটা ক্যাচ হয়েছে। যে সময় দুজন আউট হয়েছেন তখন রিয়াদ ভাই বলল, হ্যাটট্রিক বল, ফিল্ডারগুলো সামনে নে আর বল কর। মুশফিক ভাই বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। প্রথমে এসেই একটু সময় নেন তিনি। চিন্তা করেছিলাম, ইনসুইং দিলে হয়তো পরাস্ত হতেও পারে। সেভাবেই বল করেছিলাম; কিন্তু তিনি যে এভাবে পরাস্ত হবেন সেটা কল্পনাতেও ছিল না।

প্রশ্ন: ডিপিএলের আম্পায়ারিং নিয়ে কথা শোনা যাচ্ছে। পত্রিকাতে লেখাও হচ্ছে অনেক...
আল-আমিন: রেফারিং শুরুর দিকে বাজে হচ্ছিল। পরে অবশ্য এখন ঠিকই লাগছে আমার কাছে।

প্রশ্ন: এখন তো অনেক মারকুটে ব্যাটসম্যান রয়েছে ক্রিকেটে। এমন কি কেউ আছে যার বিরুদ্ধে বোলিং করার সময় কিছুটা ভেবে চিন্তে বোলিং করতে হয়?
আল-আমিন: এমন নির্দিষ্ট কেউ নাই আসলে। তবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে বোলিং করতে গেলে অনেক হিসেব করে বোলিং করতে হয়। আমি গেইলকে বোলিং করেছি, অন্যান্য অনেক খেলোয়াড়ের সামনে বল করেছি; কিন্তু বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাসহ ভারতীয় যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে বোলিং করতে গেলে অনেক টেকনিক খাটিয়ে বোলিং করতে হয়।

প্রশ্ন: ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১ রানে হারের বিষয়টা এখনও খোঁচা দেয়?
আল-আমিন: আসলে ওটা পুরোটাই কল্পনার বাইরে ছিল।

প্রশ্ন: আপাতত সামনে কি লক্ষ্য?
আল-আমিন: প্রথমেই ডিপিএলটা ভালো করে খেলা। দলকে যেন চ্যাম্পিয়ন করাতে পারি এটাই এখন একমাত্র লক্ষ্য।

আরআর/আরটি/আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।