স্প্যানিশ লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা


প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ১৪ মে ২০১৬

হিসাবটা ছিল খুবই সহজ। গ্রানাডার মাঠে গিয়ে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। তবে হোঁচট খেলে শিরোপা জয় পড়ে যেতো অসম্ভব। শেষ পর্যন্ত কোন অনিশ্চয়তাই আর ভর করেনি মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের ওপর। উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজের অসাধারণ এক হ্যাটট্রিক। শেষ পর্যন্ত গ্রানডাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ২৪তমবারের মত স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা জিতে নিল বার্সেলোনা।

অপরদিকে দেপোর্তিভো লা করুনাকে ২-০ গোলে হারালেও কোন লাভ হয়নি রিয়াল মাদ্রিদের। লা লিগায় দ্বিতীয়স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাদের।

শিরোপা এক দলই জিতবে, দু’দল নয়। তবে একেবারে লিগের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত রোমাঞ্চ টেনে আনাটাও কম কথা নয়। সে কাজটা জিনেদিন জিদান রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ভালো করে দেখিয়েছেন তিনি। এল ক্ল্যাসিকো জয় থেকে শুরু করে দলকে নিয়ে গেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল পর্যন্ত। লা লিগায়ও শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই ধরে রেখেছিলেন তিনি।

কিন্তু বিখ্যাত এমএসএন ম্যাজিকের সামনে আর টিকতে পারলো না রিয়াল। গ্রানাডার মাঠ এস্টাডিও লজ কার্মেনেজে গিয়ে লুইস সুয়ারেজ একাই জলে উঠলেন। মেসি-নেইমারকেও একা ম্লান করে দিলেন তিনি। দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে তিনি ঘোষণা দিয়ে দিলেন, এই লা লিগাটা শুধুই আমার। সে সঙ্গে এবারের মওসুমে লিগে ৪০ গোল করে সুয়ারেজ একক দাবিদার হয়ে গেলেন সেরা গোলদাতার পুরস্কার পিচিচির জন্য।

পঁচা শামুকে যেন শেষ মুহূর্তে এসে যেন পা না কাটে সে জন্য শীষ্যদের বেশ ভালোভাবেই প্রশিক্ষণ দিয়ে লজ কার্মেনেজে নিয়ে এসেছেন লুইস এনরিকে। গ্রানাডার মাঠে চলে এসেছে পুরো বার্সেলোনা পরিবার। প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তেম্যু থেকে শুরু করে অন্য কর্মকর্তারাও। প্রায় ২২ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মাঠটিও প্রায় দখল করে নিয়েছিল কাতালান সমর্থকরা।

শেষ পর্যন্ত সুয়ারেজের হ্যাটট্রিকে হাসি ফুটবলো কাতালুনিয়ায়। ২৪তম লা লিগায় শিরোপা জয়ের আনন্দই যেন অন্য রকম। তারওপর একেবারে শেষ ম্যাচে এসে মাত্র ১ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে শিরোপাটি নিজেদের করে নিতে পারলো কাতালানরা।

গ্রানাডার বিপক্ষে ম্যাচের ২২ মিনিটেই গোলের সূচনা করেন লুইস সুয়ারেজ।  জর্দি আলবার পাস থেকে খুব কাছ থেকে গোলের শটটি নেন সুয়ারেজ। এরপর খেলার ৩৮ মিনিটে আবারও গোল করে বসেন উরুগুইয়ান এই তারকা। দানি আলভেজের ক্রস থেকে খুব কাছ থেকে হেড নেন সুয়ারেজ।

২-০ ব্যবধানেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। এই ব্যবধান নিয়েই ম্যাচটা অন্তিম সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। আর বার্সা সমর্থকরা প্রস্তুতি নিচ্ছিল শিরোপা উদযাপনের। শেষ পর্যন্ত খেলা শেষ হওয়ার মাত্র ৬ মিনিট আগে আরও একটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিকটাও পূরণ করে ফেলেন সুয়ারেজ।

অপরদিকে এস্টাডিও রিয়াজরে গিয়ে দেপোর্তিভো লা করুনার বিপক্ষে ২-০ গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জিতলো রিয়াল মাদ্রিদ। দুটি গোলই করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এই দুই গোলের মধ্য দিয়ে রিয়ালের হয়ে টানা ৬ মওসুম ৫০ কিংবা তার বেশি গোল করার রেকর্ড গড়লেন রোনালদো। তবে এই ম্যাচ জিতলেও দ্বিতীয় স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো রিয়ালকে।

দেপোর্তিভোর বিপক্ষে ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই গৌরবের মাইলফলক ৫০ গোলে পৌঁছে যান রোনালদো। এরপর এই সংখ্যাটাকে নিয়ে গেলেন আরও এক ধাপ ওপরে, ম্যাচের ২৫তম মিনিটে। মোট ৫১টি গোল হলো রোনালদোর। এর মধ্যে ৩৫টি লা লিগার এবং ১৬টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।

আইএইচএস/জেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।