যেভাবে চলছে ক্রীড়াঙ্গন
নিজেদের ঘোষিত কমিটিকেই ‘বিতর্কিত’ বললো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ
গত ১৪ নভেম্বর ৯টি ফেডারেশনের কমিটি ভেঙ্গে অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার যে সার্চ কমিটি গঠন করেছিল আগস্টে সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে গঠিত অ্যাডহক কমিটির কয়েকটি নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। অভিযোগ আছে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগীদের অনেককে কৌশলে বিভিন্ন ফেডারেশনে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
ঘোষিত ৯ ফেডারেশনের মধ্যে যে কয়টি নিয়ে বিতর্ক চলছে তার অন্যতম কাবাডি। ঘোষিত ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগের অপসারণ দাবি করে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম চত্বরে পোস্টারিং ও মানববন্ধনও হয়েছে। সোহাগ অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কাবাডির উন্নয়নে কাজ করেছেন বলে দাবি করছেন।
মজার বিষয় হলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নিজেদের ঘোষিত কমিটিকেই ‘বিতর্কিত’ বলে প্রজ্ঞাপন দিয়ে তাদের নিয়োগকৃত সাধারণ সম্পাদকের দুর্নীতি তদন্তে মাঠে নেমেছে।
বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) মো. শামছুল আলম কাবাডির সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ সোহাগের দুর্নীতি তদন্তে এক সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। পরিষদের অর্থ পরিচালক মো. সাইদুর রশিদকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে নেওয়াজ সোহাগের দুর্নীতির পরিপূর্ণ আইনী তদন্তের জন্য।
ক্রীড়াঙ্গন সস্কারের উদ্দেশ্যে সরকার সার্চ কমিটি গঠন করেছিল। যে কমিটি নিয়ে শুরুতেই ছিল বিতর্ক। পরে বিভিন্ন কমিটি গঠনে ভূমিকা রাখতে থাকে। সার্চ কমিটির সুপারিশে কাবাডির জন্য এমন একজন সাধারণ সম্পাদক খুঁজে বের করা হয়েছে এক মাস না যেতেই তার দুর্নীতি তদন্ত করতে হচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে।
তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের সার্কুলারে নেওয়াজ সোহাগকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বিতর্কিত’ অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।
আরআই/আইএইচএস/