আবার নিজের রেকর্ড ভাঙলেন মাবিয়া সীমান্ত
মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ভারোত্তোলনের রেকর্ড কন্যা। সাফ গেমসে দুটি স্বর্ণ জেতা এই ভারোত্তোলক ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় অনেকবারই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন নিজের রেকর্ড ভেঙে। সেই ধারাবাহিকতায় সপ্তম আন্তঃসার্ভিস জাতীয় ভারোত্তোলনে নিজের রেকর্ড ভেঙেছেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির এই নারী ভারোত্তোলক।
রোববার ভারোত্তোলন জিমন্যাসিয়ামে অনুষ্ঠিত নারীদের বিভাগের ১০টি ওজন শ্রেণির ইভেন্ট হয়েছে। মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ৭১ কেজিতে অংশ নিয়ে স্ন্যাচে ৮৫ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১১ কেজি ওজন তুলেছেন। দুটিতে হয়েছে নতুন জাতীয় রেকর্ড। টোটাল ১৯৬ কেজিও নতুন জাতীয় রেকর্ড।
গত মার্চে বাগেরহাটে হওয়া জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে মাবিয়া এই ওজন শ্রেণিতে রেকর্ড গড়েছিলেন স্ন্যাচে ৮২, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১০৮ ও টোটাল ১৯০ কেজি ওজন তুলে। ওই প্রতিযোগিতায় তিনি ভেঙেছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মনিরা কাজীর রেকর্ড।
আরেকটি রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জয়ের পর মাবিয়া আক্তার সীমান্ত বলেছেন, ‘আমি সবসময় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি ক্যারিয়ারে অনেকবার নিজের রেকর্ড ভেঙ্গেছি। সেটা কতবার তা মনে নেই। যতদিন খেলবো সেরাটা দেওয়ারই চেষ্টা করবো। আমি কোচ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ছাড়াই নারী হয়েও জার্কে ১১১ কেজি তুলেছি। সামনে আরো ভালো করার চেষ্টা করবো।’
নারীদের বিভাগে সেরা ভারোত্তোলকের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্মৃতি আক্তারকে। তিনি নিজের ইভেন্ট ৫৯ কেজিতে স্বর্ণ জিতেছেন দুটি রেকর্ড করে। স্ন্যাচে ৭৬ কেজি, ক্লিন অ্যান্ড জার্কে রেকর্ড ১০৩ কেজি এবং টোটাল রেকর্ড ১৭৯ কেজি ওজন তুলেছেন স্মৃতি।
অন্য স্বর্ণ জেতা ভারোত্তোলকরা হলেন-৪৫ কেজিতে আনসারের বৃষ্টি আক্তার, ৪৯ কেজিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হামিশা পারভীন, ৫৫ কেজিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মারিজয়া আক্তার ইকরা, ৬৪ কেজিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফারজানা আক্তার রিয়া, ৭৯ কেজিতে বাংলাদেশ জেলের আয়শা খাতুন পান্না, ৮১ কেজিতে আনসারের জহুরা আক্তার নিশা, ৮৭ কেজিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজী লিপি ও উর্ধ্ব ৮৭ কেজিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাহেলা আক্তার মিজু।
আরআই/এমএমআর/জিকেএস