স্বাধীনতা কাপের শিরোপা চট্টগ্রাম আবাহনীর


প্রকাশিত: ০১:৪৮ পিএম, ০৭ মে ২০১৬

শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথেই যেন আকাশকে ছুঁয়ে ফেললো চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবলাররা। দলের সকল ফুটবলার দৌড়ে মাটিতে ডাইভ দিয়ে যেন উল্লাসকে ভিন্নমাত্রা দিলেন। আনন্দটা বাঁধভাঙ্গা হবেই বা না কেন! দলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফুটবলারকে ছাড়াই কোচ জোসেফ প্যাভলিক চট্টগ্রাম আবাহনীকে এনে দিলেন প্রথমবারের মত স্বাধীনতা কাপের শিরোপা। স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে ঢাকা আবাহনীকে ২-০ গোলে হারালো চট্টগ্রাম আবাহনী। আরো একবার ফাইনালে উঠে শিরোপা বঞ্চিত থাকতে হল ঢাকা আবাহনীকে।

চার বছর ধরে দেশের অন্যতম সেরা ক্লাব ঢাকা আবাহনীর ঘরে নেই কোন শিরোপা। শেষবার ২০১২ সালে পেশাদার লিগ জিতেছিল ঢাকা আবাহনী। ঐ শেষ, এরপর আর কোন শিরোপার দেখা পায়নি ধানমন্ডির এই দলটি। অথচ পুরো ম্যাচে মাত্র গুটি কয়েক আক্রমণ করতে পেরেছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। সেটি থেকেই গোল আদায় করে নিয়েছে তারা। কিন্তু তুলনামূলক ভাবে অনেক গোলের সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি ঢাকা আবাহনী।

১৩ মিনিটেই ঢাকা আবাহনীর সেনেগালের স্ট্রাইকার কামারা সারবা ক্রস করলেও ডি বক্সের ভেতর কোন সতীর্থ না থাকায় প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করে ঢাকা আবাহনী। এর ঠিক ৮ মিনিট পরেই কর্ণার থেকে আবাহনীর ডিফেন্ডার ওয়ালি ফয়সাল হেড করলে তা গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। বল পজিশন রেখে গোছালো ফুটবল উপহার দিচ্ছিল দুদলই।  

ঢাকা আবাহনীর আক্রমণের পর আক্রমণের বিপরীতে ২৪ মিনিটেই ডি বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু জাহিদের বুদ্ধিদীপ্ত দক্ষতায় ফ্রি কিক না নিয়ে পাস দেন রেজাকে। রেজার শট গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৩৪ মিনিটে আবারো কর্ণার থেকে বল পেয়ে গোলবাইরের বাইরে মারেন ঢাকা আবাহনীর মিডফিল্ডার ইমন। প্রথমার্ধের একদম শেষ সময়ে রুবেল মিয়ার করা শট দুর্দান্ত ভঙ্গিমায় রুখে দেন ঢাকা আবাহনীর গোলকিপার সুলতান।

গোলশূন্য অবস্থাতেই প্রথমার্ধ শেষ করলে বিরতি থেকে ফিরে যেন দু দলই আক্রমনের পশরা সাজিয়ে বসে। ৫৫ মিনিটে রুবেল মিয়ার দুর্দান্ত পাসে টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় গোল করে চট্টগ্রামে আবাহনীকে প্রথমবারের মত খেলায় এগিয়ে দেন লিওনেল প্রিক্স। ঢাকা আবাহনীর প্রথম গোল খাওয়ার দুঃখ ভুলতে না ভুলতেই আবারো চট্টগ্রাম আবাহনীর গোল। এবার গোলদাতা রুবেল মিয়া।

ডান পাশ দিয়ে কৌশিকের ক্রসে দর্শনীয় এক বাইসাইকেল কিকে গোল করে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন বাংলাদেশের এই ফরোয়ার্ড। ৬১ মিনিটেই দু গোল খেয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় ঢাকা আবাহনী। ৭০ মিনিটে ঢাকা আবাহনীর লি টাকের বা পায়ের শট গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের বাকিটা সময় শত চেষ্টা করেও চট্টগ্রাম আবাহনীর রক্ষণভাগ ভাঙতে পারেনি ঢাকা আবাহনী। প্রথমবারের মত স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতলো চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচ শেষে চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবলারদের মেডেল এবং ট্রফি তুলে দেন সালাম মুর্শেদী। টুর্নামেন্টে ৬ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন ঢাকা আবাহনীর সানডে চিজোবা।

আরআর/এমআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।