ক্রীড়াঙ্গন সংস্কার
সার্চ কমিটির সভায় মুখোমুখি সাবেক-বর্তমান সংগঠকরা, উত্তেজনার শঙ্কা
ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য গঠিত সার্চ কমিটি ৩ দিনে ৯ টি ফেডারেশনের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে এই মতবিনিময়। প্রতিদিন তিনটি করে ফেডারেশনের সঙ্গে বসবে সার্চ কমিটি।
মঙ্গলবার মতবিনিময় শুরু হবে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন দিয়ে, চলবে বিকেল ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত। এভাবে এক ঘণ্টা করে মতবিনিময়ের সূচি নির্ধারণ করা আছে বাংলাদেশ বিলিয়ার্ড অ্যান্ড স্নুকার ফেডারেশন ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন।
এভাবে বুধবার বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন এবং বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন, বাংলাদেশ ফেন্সিং ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ব্রিজ ফেডারেশনের সঙ্গে মতবিনিময় করবে সার্চ কমিটি।
কয়েকদিন আগে ফেডারেশনগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় করেছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সেখানে সাবেক-বর্তমান সংগঠকরা মতামত ব্যক্ত করার প্রতিযোগিতায় মেতেছেন। তাতে সৃষ্টি হয়েছিল বিশৃঙ্খলা। বিরক্ত হবে উপদেষ্টা বলতে বাধ্য হয়েছিলেন 'আপনাদের মধ্যেই তো শৃঙ্খলা নেই।'
মঙ্গলবার থেকে তিনটি করে ফেডারেশন নিয়ে মতবিনিময় সভায়ও বিশৃঙ্খলা হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।
কারণ, এ মতবিনিময়েও এক ছাদের নিচে এক করা হচ্ছে বর্তমান ও সাবেক সংগঠকদের। দুই পক্ষের যুক্তি-তর্ক, কথা কাটাকাটি হতে পারে। কারণ, ফেডারেশনের সংস্কার কিভাবে হবে তার একটা রুপরেখা এই মতবিনিময় থেকেই তৈরি হতে পারে। তাই কোনো পক্ষই কাউকে ছাড় দেবে, সেটা ধরে নেওয়া যায় না। উত্তেজনাও তৈরি হতে পারে।
এ মতবিনিময়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দুইজন করে কর্মকর্তা, একজন কোচ বা বিশেষজ্ঞ, চারজন জাতীয় দলের খেলোয়াড়, প্রাক্তন খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, প্রবীণ সংগঠক। প্রতি ফেডারেশনের চারজন করে সাবেক কর্মকর্তা ডেকেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। প্রাক্তন চারজন করে খেলোয়াড় ডাকা হয়েছে। যেখানে শর্ত দেওয়া হয়েছে কমপক্ষে প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে দেশের সব খেলায় প্রিমিয়ার ডিভিশন হয় না। প্রাক্তন দুইজন করে কোচ, রেফারি ও আম্পায়ারকেও ডাকা হয়েছে এই মতবিনিময় সভায়।
আরআই/এমএইচ/জিকেএস