ফেডারেশনের বর্তমান সংগঠকদের সাথেই মতবিনিময় করবেন ক্রীড়া উপদেষ্টা!

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৪৪ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন সেক্টরের সংস্কার কাজ শুরু করেছে। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারেরও।

দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগের লোকজন পরিচালনা করেছে ক্রীড়াঙ্গন। খেলার সাথে সম্পৃক্ততা না থাকলেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আসীন হয়েছিলেন বিভিন্ন ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে।

ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনীতির বলয় থেকে বের করে প্রকৃত ও দক্ষ সংগঠকদের দায়িত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এই কমিটিকে দুই মাস সময় বেধে দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ে একটি সুপারিশমালা জমা দিতে। এর মধ্যে এক মাস অতিক্রম হওয়ার পথে। এ সময়ে ৪৮ ফেডারেশন সভাপতিশূন্য হয়েছে এবং কয়েকটি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকও নেই।

এখন পর্যন্ত কোনো ফেডারেশন কিংবা অ্যাসোসিয়েশন পুনরায় গঠন করেনি ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বর্তমান সরকারের ৫০ দিনের মাথায় এসে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মতবিনিময় করতে যাচ্ছে বিভিন্ন ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন ও সংস্থার বর্তমান কর্মকর্তাদের সঙ্গে।

শুক্রবার বিকাল ৪ টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে শুরু হবে এই মতবিনিময় সভা। উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্ট খেলার ৪ জনকে এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকার জন্য বলেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। চিঠিতে কোন ক্যাটগরিতে ৪ জনের নাম পাঠাতে হবে তাও নির্ধারণ করে দিয়েছে এনএসসি। সংগঠক, খেলোয়াড়, কোচ ও রেফারি- এই চার ক্যাটাগরির চারজনের নাম এরই মধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছে ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলো।

‘ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নির্ধারিত ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা মহোদয়। আমরা যাদেরকে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করেছি সবাই এরই মধ্যে এন্ট্রি করেছে’- বলেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম।

রাজনৈতিক লেবাস লাগিয়ে যারা ক্রীড়াঙ্গনে ঢুকেছিলেন তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপন করেছেন। ৪৬ জন সভাপতি ও ২ জন সাধারণ সম্পাদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নিজ থেকে পদত্যাগ করেছেন কয়েকজন। তবে ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন এখনো ফ্যাসিবাদী সরকারের ভাবধারার লোকদের দখলে। অথচ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাদের নিয়েই মতবিনিময় সভা করতে যাচ্ছে। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ক্রীড়াঙ্গনে।

প্রশ্ন উঠেছে, ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশের কর্মকর্তারা যাদের এই মতবিনিময়ের জন্য মনোনীত করেছেন, তারা তো আগের মতাদর্শীই। সুতরাং, এ ধরনের লোকদের কাছ থেকে মতামত নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কিভাবে ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কার করবে?

আরআই/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।