মুশফিক-থারাঙ্গার ব্যাটে মোহামেডানের জয়


প্রকাশিত: ১০:৫৭ এএম, ০৩ মে ২০১৬

নাঈম ইসলাম জুনিয়রের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও লঙ্কান তারকা উপুল থারাঙ্গার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দারুণ জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে চার ওভার হাতে রেখেই সাত উইকেটের সহজ পায় ঐতিহ্যবাহী দলটি।

ফলে তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রান রেট বিবেচনায় তালিকার পঞ্চম স্থানে উঠে এলো মোহামেডান। অপরদিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেলো রূপগঞ্জ। তিন ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে রান রেট বিবেচনায় তালিকার অষ্টম অবস্থানে আছেন তারা।

রূপগঞ্জের দেওয়া ২১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ সূচনা করে মোহামেডান। দুই ওপেনার সৈকত আলী ও এজাজ আহমেদ ৫২ রানের জুটি উপহার দেন। তবে এ দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর মোহামেডানের জয়ের ভিত গড়ে দেন উপুল থারাঙ্গা ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০৬ রানের দারুণ জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান।

টুর্নামেন্টে দারুণ ফর্মে থাকা মুশফিক এদিনও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ৬৪ বল মোকাবেলা করে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি।

তবে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন থারাঙ্গা। ৯৯ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া সৈকত ৩৪ ও এজাজ ২৬ রান করেন। শেষ দিকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ১৭ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৪ রান করেন আরিফুল হক।

এর আগে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে রূপগঞ্জ। শুরুটাও করে তারা দুর্দান্ত। দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দিকির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে প্রথম জুটিতেই ১০৭ করে তারা।

মোহামেডানের পক্ষে প্রথম সাফল্য এনে দেন নাঈম ইসলাম জুনিয়র। এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরে জুনায়েদের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। এরপর আর কোন ব্যাটসম্যান উইকেটে থিতু হতে না পারায় ৪৯.৩ ওভারে ২১২ রান করে অলআউট হয়ে যায় রূপগঞ্জ।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন মিজানুর। ৮৫ বল মোকাবেলা করে ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন এ ওপেনার। আরেক ওপেনার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন জুনায়েদ। এছাড়া মোশারফ হোসেন রুবেল ২৪ ও সৌম্য সরকার ২০ রান করেন।

মোহামেডানের পক্ষে ৪৮ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার নাঈম জুনিয়র। ২৬ রানে ৩টি উইকেট পান হাবিবুর রহমান। এছাড়া নাঈম ইসলাম ২টি ও শুভাশিষ রায় ১টি উইকেট নেন।

আরটি/এআরএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।