মা-বাবার দোয়া নিয়েই মাঠে নামেন মুস্তাফিজ


প্রকাশিত: ০৪:২১ পিএম, ০১ মে ২০১৬

মাত্র এক বছরেই বিশ্ব তারকায় পরিণত হয়েছেন সাতক্ষীরার অজ-পাড়া গাঁয়ের এক তরুণ, মুস্তাফিজুর রহমান। বিশ্বজুড়ে এখন শুধু তারই বন্দনা। অথচ, মাত্র এক বছর আগে কেউ চিনতোই না তাকে। একে আল্লার বিশেষ রহমত বলেই বিশ্বাস করেন মুস্তাফিজের বাবা আবুল কাশেম গাজী। জাগো নিউজ২৪-এর সাথে কথা বলেন তিনি।

ছেলেকে নিয়ে নানা আলাপ-চারিতায় অনেক কিছুই জানিয়েছেন মুস্তাফিজের বাবা। সেখানেই তিনি জানান, আইপিএলে প্রতিটি ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে বাবাকে ফোন করেন মুস্তাফিজ। বাবা-মা`র কাছ থেকে দোয়া নিয়েই তবে তিনি খেলার মাঠে যান।

শনিবার রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে মুস্তাফিজের দল সানরাইজার্স হায়দারাবাদের ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণ আগে জাগো নিউজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আকরামুল ইসলামের মাধ্যমে ফোনে কথা হয় আবুল কাশেম গাজীর সঙ্গে। তখনই তিনি জানান, মাঠে যাওয়ার আগে মা-বাবার কাছ থেকে দোয়া চাওয়ার বিষয়টি।

মুস্তাফিজের বাবার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ছেলের সঙ্গে কী প্রতিদিন যোগযোগ হয়? তিনি বলেন, `হ্যাঁ অবশ্যই। প্রতিদিনই তার সঙ্গে কথা হয়। মাঠে যাওয়ার আগে সে আমার সঙ্গে কথা বলে। দোয়া চায়। তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে, দোয়া চায়। আজও যেমন খেলার জন্য মাঠে যাওয়ার আগে আমাকে ফোন করেছে। আব্বা-আম্মার কাছে দোয়া চেয়েছে। যতগুলো খেলা হয়, সবসময়ই আমার কাছ থেকে দোয়া চেয়ে মাঠে নামে সে। কখনও আমার সঙ্গে কথা না বলে মাঠে যায় না।`

মুস্তাফিজের বাবা আবুল কাশেম গাজী আরও বলেন, `আমরাও তার জন্য সব সময় দোয়া করি। সন্তানের জন্য তো বাবা-মা দোয়া করবেই। আর তার জন্য তো এখন আমার বিশ্বাস, সারা দেশের মানুষই দোয়া করে। সে তো ১৬ কোটি মানুষের সন্তান।`

ভারতে মুস্তাফিজ কেমন আছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, `হ্যাঁ ভালো আছে। আর ছেলে মানুষ তো! নতুন সফরে গিয়েছে। একটু-আধটু সমস্যা হচ্ছেই। ভাষার সমস্যা তো আছেই। গরমও সমস্যা করছে। থাকা নিয়েও একটু সমস্যা হয়। এছাড়া আর কোন সমস্যা হয় না। আসলে আমার কাছে সব কিছু বলেও না। তবে ওর কথা শুনলে আমি বুঝি। তবে জিজ্ঞাসা করলে, বলে ভালো আছি। আপনারা দোয়া করবেন। তাহলে আরও ভালো থাকবে।`

আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।