হকিতে সংস্কারের দাবি খেলোয়াড়-সংগঠকদের

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:১০ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২৪

‘সন্ত্রাসী-আওয়ামী দালাল হটাও, হকি বাঁচাও’-এই স্লোগান নিয়ে মঙ্গলবার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন হকির এক সময়কার মাঠ কাঁপানো তারকা খেলোয়াড় ও সংগঠকরা।

আলোচিত ক্যাসিনোকাণ্ডের নায়ক বর্তমান অবৈধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল হক সাঈদসহ পুরো কমিটির পদত্যাগ দাবি করে অতি দ্রুত যোগ্যদের নিয়ে অ্যাডহক কমিটির দাবি জানিয়েছেন তারা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদেও স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।

আগামী তিনদিনের মধ্যে বর্তমান কমিটি ভেঙে বিভিন্ন সময়ে যারা বঞ্চিত ছিলেন তাদেরসহ, যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠনের অনুরোধ জানিয়েছেন মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সাবেক তারকারা।

গত বছর একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা সাধারণ সম্পাদক সাঈদ এখন পলাতক। সহসভাপতি রশিদ শিকদার এবং যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল এহছান রানারও ফেডারেশনে আসছেন না। এমতাবস্থায় দেশের হকি কিছুতেই চলতে পারে না।

সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদ এ এ আদেল, রফিকুল ইসলাম কামাল, কামরুল ইসলাম কিসমত, মামুন-উর-রশিদ, শহিদুল্লাহ দোলন, মনোয়ার হোসেন, খাজা ইরতেজা কাদের গুড্ডু, জহিরুল ইসলাম মিতুল, তারেক এ আদেলসহ আরো অনেক হকি খেলোয়াড় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

সাজেদ এএ আদেল বলেন, ‘এখানে যারা এসেছেন সবাই হকি খেলোয়াড়। আমাদের প্রাণপ্রিয় খেলা হকি এতদিন ভালোভাবে চলেনি। আমরা ভালোভাবে চালাতে চাই। বর্তমান কমিটির পদত্যাগের পাশাপাশি অ্যাডহক কমিটি চাই।’

২০২৩ সালে সবশেষ হকি ফেডারেশনে নির্বাচনে সাঈদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা উল্লেখ করে সাজেদ এএ আদেল বলেছেন, ‘নির্বাচনে আমরা দুইটা ক্লাব কাউন্সিলরশিপ ছিনতাই করা হয়েছিল। আমাকে নমিনেশন পেপার কিনতে দেয়া হয়নি, জমা তো দূরের কথা। মুমিনুল হক সাঈদ সাহেব আমাকে ডাইরেক্ট বলেছেন-টাকা-পয়সাতে আপনি আমার ওপরে থাকতে পারেন, পেশী শক্তিতে নয়। ন্যায়বিচার চেয়ে আমি আদালতে গিয়েছিলাম। ২০২৩ সালের ২১ জুন আদালত এই কমিটিতে অবৈধ ঘোষণা করেছে।’

সাবেক খেলোয়াড় রফিকুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে হকিতে পরিবর্তন দরকার আছে এবং সেই পরিবর্তনের দাবিতে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি। আমরা বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে সবাইকে নিয়ে একটা নতুন কমিটি তৈরি করে দেয়ার জন্য ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করব।’

মামুন-উর-রশিদ বলেন, ‘গেলো ১০-১৫ বছর একটা গোষ্ঠী খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করেছে, সংগঠকদের বঞ্চিত করেছে, খেলাটাকে কুক্ষিগত করে ফেলেছিল। হকির যে উন্নতির কথা ছিল সেটা হয়নি। যা ইচ্ছা তাই করেছে। আমরা এর অবসান চাই। ফেডারেশন তার নিজস্ব নিয়মে চলবে, খেলোয়াড়দের তাদের নিয়মে চলবে।’

কামরুল ইসলাম কিসমত বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। প্রত্যেকটা সংস্থায় পরিবর্তন হচ্ছে। হকিতে আমরা যারা সাবেক খেলোয়াড়, সংগঠক আছি তাদের নিয়ে যাতে সুষ্ঠু, সুন্দর কমিটি গঠিত হয় সেটাই আমার চাওয়া।’

আরআই/এমএমআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।