মাশরাফি যা পারেননি, তা করে দেখালেন মুক্তার


প্রকাশিত: ০৪:১৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৬

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে মঙ্গলবার তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি ম্যাচই নিষ্পত্তি হলো শেষ বলে এবং আরও কাকতালীয় ব্যাপার তিনটি ম্যাচেই শেষ বলে জয়ের জন্য ছক্কা প্রয়োজন ছিল। তবে এর মধ্যে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রাজিন সালেহ ও মাশরাফি বিন মর্তুজা না পারলেও পেরেছেন তরুণ মুক্তার আলী।

এদিন বিকেএসপিতে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে শেষ বলে ছয় রানের প্রয়োজন ছিল সিসিএসের। বল হাতে ছিলেন রুবেল হোসেন; কিন্তু শেষ বলে কোনো রানই তুলতে পারেননি দলের অধিনায়ক রাজিন। ফলে ৫ রানের জয় পায় প্রাইম ব্যাংক।

অপর ম্যাচে ফতুল্লায় প্রাইম দোলেশ্বের বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ বলে ছয় রানের প্রয়োজন ছিল কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের। বল হাতে ছিলেন আল-আমিন হোসেন। ব্যাটিংয়ে ছিলেন দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা; কিন্তু তিনি ১ রান নেয়ার পর দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হন। ফলে ৪ রানের জয় পায় প্রাইম দোলেশ্বর।

তবে সৌভাগ্য ছিল শেখ জামালের। শেষ বলে জয়ের জন্য পাঁচ রান প্রয়োজন ছিল তাদের। উইকেটে ছিলেন অলরাউন্ডার মুক্তার আলী। তাসকিন আহমেদের বলে লং অন দিয়ে দুর্দান্ত ছক্কা মেরে দলকে জয়ের আনন্দে ভাসান মুক্তার।

এদিন তিন ম্যাচে শেখ জামালের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ছাড়া বাকি দুই অধিনায়ক শেষ বলে গুরু দায়িত্বে ছিলেন। এদিক থেকে হয়তো মাহমুদউল্লাহ নিজেকে সৌভাগ্যবান বলতে পারেন। কারণ দিনটি এদিন অধিনায়কদের ছিল না। ছিল মুক্তারের মতো তরুণদের।

এছাড়াও এদিন তিন ম্যাচে তিন ভেন্যুতে শেষ ওভারের গুরুদায়িত্ব ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের তিন সেরা পেসারের। রুবেল হোসেন, আল-আমিন হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। দুই হোসেন পারলেও পারেনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ পেসার তাসকিন। তার শেষ বলে ছক্কা হাঁকান শেখ জামালের মুক্তার আলী।

আরটি/আইএইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।