মাহবুবুলের সেঞ্চুরিতে আবাহনীকে হারালো শেখ জামাল


প্রকাশিত: ০১:২৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৬

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এক রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে শেষ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শেষ বলে মুক্তার হোসেনের ছক্কায় আবাহনীর বিপক্ষে চার উইকেটের জয় পায় দলটি। কাগজে কলমে দুর্দান্ত দল আবাহনী আগের ম্যাচে উড়িয়ে দেয় মাশরাফির কলাবাগানকে। তবে পরের ম্যাচেই তাদের মাটিতে নামিয়ে আনলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। মাহবুবুল করীমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে টানা দ্বিতীয় জয় পেল দলটি।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৭ রান প্রয়োজন ছিল শেখ জামালের। এ সময় তাসকিনকে বোলিংয়ে আনেন আবাহনীর অধিনায়ক তামিম। ওভারের শুরুটা দারুণ করেন তিনি। প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট তুলে নেন এ পেসার। এর পরের তিন বলে দেন ২ রান। ফলে শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৫ রানের। এই বলটিই হয়ে গেলো আবাহনীর জন্য আক্ষেপের। মুক্তার হোসেনের দুর্দান্ত শটে লংঅনের উপর দিয়ে সীমানা পার হয়ে গেলো তাসকিনের বলটি। ফলে জয়ের উল্লাসে ভাসে শেখ জামাল।
 
আবাহনীর দেওয়া ২৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ সূচনা পায় শেখ জামাল। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৭ রান সংগ্রহ করেন দুই ওপেনার জয়রাজ শেখ ও মাহবুবুল করীম। জয়রাজের বিদায়ের পর মার্শাল আইয়ুবকে নিয়ে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন মাহবুবুল। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১২৫ রান সংগ্রহ করে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন তারা।

দলীয় ১৯২ রানে সাকলাইন সজীবের বলে মার্শাল বোল্ড হলে খেলায় ফিরে আসে আবাহনী। তবে এক প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাট করে লিস্ট এ ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহবুবুল। ১১০ বলে ১৫টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৩০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন মাত্র ৮১ বলে। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ২৭ ও নাজমুস সাদাত ৩৩ রান করেন। আবাহনীর পক্ষে শান্ত ও সাকলাইন সজীব ২টি করে উইকেট পান।

এর আগে মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আবাহনী লিমিটেড। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও অভিষেক মিত্রর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ভালো সূচনা পায় তারা। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ রান তোলার পর সোহাগ গাজীর শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন অভিষেক। তবে একপ্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে ভালো সংগ্রহের পথে নিয়ে যান তামিম ইকবাল। ৯১ বলে ১১টি চারের সাহায্যে ৯০ রান করেন তিনি। মাহমুদউল্লাহর বল ডাউন দ্য উইকেট এসে খেলতে গিয়ে লং অনে সফিউলের হাতে ধরা পরেন তিনি। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ভারতীয় ব্যাটসম্যান উদয় কাউলের সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়েন তামিম। ৭৮ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬৩ রান করেন উদয়।

তবে আবাহনীর বড় স্কোরে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৫৮ বলে ৮৩ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৮৭ রান করে আবাহনী। শান্ত ৫০ বলে ৫২ ও সৈকত ২৯ বলে ৪৬ রান করেন।

আরটি/আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।