ভারতের স্কুলের বাচ্চারাও ক্রিকেট নিয়ে জুয়া খেলে!


প্রকাশিত: ০২:২৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৬

ক্রিকেটকে বলা হতো রাজার খেলা। বৃটিশদের কাছ থেকে আমদানি করা বলেই হয়তো এই নাম দেয়া। তবে কালের বিবর্তণে ক্রিকেট এখন হয়ে গেছে সার্বজনীন। পুরো বিশ্বেই ক্রিকেট চর্চা চলে। সবচেয়ে বেশি যে দশটি দেশে চলে, তারা আইসিসির পূর্ণ সদস্য।

১৯৭১ সালে আধুনিক ক্রিকেটের সূচনা। ৫দিনের টেস্ট থেকে হঠাৎ একদিনের ক্রিকেটের উৎপত্তি। বাণিজ্যের এই যুগে ক্রিকেটকে আরও লাভজনক কিভাবে করা যাবে, সে চিন্তা থেকে এলো টি-টোয়েন্টি আয়োজনের। অবশেষে টি-টোয়েন্টিই এখন ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফরম্যাট।

ক্রিকেট বাণিজ্যিক হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতিও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। যে কারণে দেখা যাচ্ছে ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হয়। ভারতের ক্রিকেট লিগ আইপিএলে ফ্রাঞ্জাইজি মালিক থেকে শুরু করে ফ্রাঞ্চাইজিও নিষিদ্ধ হয়। পুলিশের সাঁসাড়ি অভিযান চলে। একের পর এক জুয়াড়ি ধরা পড়ছে, তবুও থামছে না সর্বনাশা ক্রিকেট জুয়া।

এবার চাঞ্চল্যকর খবর হচ্ছে ভারতে ক্রিকেট জুয়ার সঙ্গে আশঙ্কাজনক হারে জড়িয়ে পড়েছে স্কুল পুড়ুয়ারা পর্যন্ত। কলকতার প্রভাবশালী আনন্দবাজার পত্রিকায় এক কলামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরই জানিয়েছেন বিষয়টা। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এখনই অভিভাবকরা সতর্ক না হলে, অচীরেই বিষয়টা মারাত্মক আকার ধারণ করবে।

আনন্দবাজারে লেখা নিজের কলামে গম্ভীর একটা অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন। পুনেতে খেলতে গিয়ে হোটেলে একটি স্কুলের প্রিন্সিপালের সঙ্গে তার কথা হয়। তিনি একজন মহিলা। প্রথমে গম্ভীর ভেবেছিলেন ছবি তোলার প্রত্যাশি। পরে মহিলা নিজের পরিচয় দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন গম্ভীরের সাথে।

পাওলিন দে নামে ওই নারী বারাণসীর ডব্লিউএইচ স্মিথ মেমোরিয়াল স্কুলের প্রিন্সিপাল। তিনি আবার `শিক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে শান্তি স্থাপন`- বিষয় নিয়ে গবেষণাও করছেন। গবেষণা করতে গিয়েই তার নজরে আসে আইপিএলে জুয়ার বিষয়টা। তিনি সবচেয়ে অবাক হন, যখন দেখেন আইপিএল জুয়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে শত শত স্কুল পড়ুয়া। এবং এই স্কুল পড়ুয়ারা প্রায় সবাই ধনীর দুলাল। নিজেদের পকেট-মানি আর মোবাইল ব্যবহার করে তারা ক্রিকেট জুয়া খেলে। ভারতের অন্তত চারটি রাজ্যে এই পরিস্থিতি ভয়াবহ। গম্ভীর রাজ্যগুলোর নাম বলেননি।

পাওলিন দে গম্ভীরের কাছে অনুরোধ করেন, স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবকদের কাছে তাদের সন্তানদের ক্রিকেট জুয়া থেকে দূরে সরিয়ে আনার আবেদন জানানোর। গম্ভীরও সব বাবা-মায়েদের কাছে আমার পরামর্শ রাখেন, বাচ্চারা কীভাবে পকেটমানি খরচ করছে, কোথায় ফোন করছে, এ সবের উপর কড়া নজর রাখুন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ জন্য সবাই যেন আবার আইপিএলের ওপর দায় না চাপিয়ে দেয়।

আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।