তরুণদের নিয়ে তামিমের বিশেষ পরিকল্পনা


প্রকাশিত: ০১:৪৯ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৬

অভিষেকের পর থেকেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য তামিম ইকবাল খান। প্রায় নয় বছরের ক্যারিয়ারে জাতীয় দলে খেলার আমেজটা ভালো করেই জানেন তিনি। তাই সেই আমেজ এবার তরুণ ক্রিকেটারদের মাঝে ছড়িযে দিতে চান তামিম। পাশাপাশি তরুণ ক্রিকেটারদের বিভিন্নভাবে সহয়তাও করতে চান তিনি।  

বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে তামিম বলেন, ‘আমি মনে করি এ টুর্নামেন্টটা অবশ্যই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। জাতীয় দলে আমরা যেমন করে পরিকল্পনা করি, ওখানে যে অনুভবটা থাকে- সেটাই এখানকার তরুণ ক্রিকেটাদের অনুভব করানো হবে আমাদের কাজ। যখন একটা ক্রিকেটার জাতীয় দলে আসবে তখন সে যাতে সহজে মানিয়ে নিতে পারে।’

একসময় বাংলাদেশ দলে কোনো ক্রিকেটার একটি হাফ সেঞ্চুরি করলে পুরো দল খুশি হয়ে যেত। সেটাকেই ভালো পারফর্ম বলে মেনে নেওয়া হতো; কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে বাংলাদেশ দল যেমন বদলেছে তেমনি বদলেছে চাহিদাও। এখন কোনো খেলোয়াড় উইকেটে টিকলে তাকেই ম্যাচ শেষ করে আসার দায়িত্ব নিতে হয়। আগামীদিনের তরুণদের এভাবেই নিজেদের গড়ে তুলতে সহয়তা করা নিজের দায়িত্ব বলে করেন তামিম।

‘একটা সময় ছিল যখন ৫০/৬০ই অনেক বড় রান ছিল; কিন্তু জাতীয় দলে এখন ক্রিকেটাররা প্রচুর সেঞ্চুরি পাচ্ছেন। এই টুর্নামেন্টে একজন তরুণ ক্রিকেটার ৫০ রান করলে ওর দায়িত্ব পড়বে জিনিসটাকে পুরোপুরি শেষ করা। আমরা এখানে তরুণদের সাথে সে কথা বলতে পারি। তাদের সে সহয়তা প্রদান করতে পারি। বিভিন্ন জিনিস শেয়ার করতে পারি। এখান থেকে ৫/১০ জন লাভবান হলেও সেটা ক্রিকেটের জন্য ভালো।’

জাতীয় দলে খেলার যত সুবিধা পান তামিমরা, তা তরুণরা পান না বলেই জানেন তিনি। এবারের মৌসুমের শুরু থেকেই প্রচণ্ড গরম সকল খেলোয়াড়ের দুশ্চিন্তার কারণ। তাই এ গরমে ফিটনেস নিয়ে কাজ কিভাবে করতে হবে- এসব বিষয়েও তরুণদের সহয়তা করবেন বলে জানান তামিম।

আরটি/আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।