ঘর সাজাতে বাহারি পর্দা


প্রকাশিত: ০৭:৩৪ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৪

প্রয়োজনে হোক বা শৌখিনতার কারণেই হোক, সব বাসাতেই পর্দার ব্যবহার থাকে। একসেট মানানসই পর্দা বদলে দিতে পারে আপনার ঘরের পরিবেশ। বসার ঘর, শোবার ঘর এবং খাবার ঘরের জন্য একই ডিজাইনের পর্দা ব্যবহার না করে আলাদা আলাদা ডিজাইন বেছে নিলে দেখতে ভালো লাগবে।

বসার ঘরের পর্দা
বসার ঘরে ভিক্টোরিয়ান পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে। ঝালর দেওয়া আকর্ষণীয় পর্দাগুলোকে ভিক্টোরিয়ান পর্দা বলে। সিলিং থেকে মেঝের দুই ইঞ্চি ওপর পর্যন্ত হতে পারে পর্দার উচ্চতা। দুই-তিনটি লেয়ার দেওয়া পর্দা বেশ আকর্ষণীয় দেখায়। তবে ছোট ড্রইংরুমে বেশি জমকালো পর্দা ব্যবহার করা উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে পর্দার রিং বা পেলমেট হতে পারে কারুকার্যময়। বাহারি পেলমেটের সঙ্গে এক লেয়ারের পর্দা ভালো দেখাবে। চাইলে দুই লেয়ারের পর্দাও ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঝালর না থাকলেই ভালো। বসার ঘরে আসবাব যদি কালো রঙের থাকে, তাহলে মেরুন বা গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করুন।


শোবার ঘরের পর্দা
শোবার ঘরের পর্দা হতে হবে মোটা ও ভারী ধরনের, যাতে আলো না ঢোকে। ঘর-বাড়ি বড় হলে জমকালো পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। তবে শোবার ঘরের পর্দা খুব বেশি জমকালো না হওয়াই ভালো। ভারী পর্দার ওপর পাতলা নেট দিতে পারেন। এতে দিনের বেলায় মূল পর্দা ফিতা দিয়ে আটকে রেখে নেটের পর্দা খুলে রাখা যায়। বেডকভারের সঙ্গে ম্যাচিং করে পর্দায় হ্যান্ডপেইন্ট বা ব্লকের কাজ করা যেতে পারে। পর্দায় বেশ কয়েকটি রঙ মিশেল রাখতে পারেন।


খাবার ঘরের পর্দা
খাবার ঘরে সিনথেটিক পর্দা ব্যবহার করা ভালো।খাবার ঘরে হালকা রঙ ও হালকা ধরনের প্রিন্ট নিয়ে আসবে সতেজতা। চাইলে টেবিল ক্লথের সঙ্গে ম্যাচিং করে পর্দা লাগাতে পারেন।


কোথায় পাবেন, কেমন দাম
পছন্দমতো ডিজাইনের পর্দায় ঘর সাজাতে চাইলে কাপড় কিনে বানিয়ে নেয়া ভালো। এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, আনারকলি, ইসলামপুরে পাবেন দেশি-বিদেশি পর্দার কাপড়। দেশি কাপড়ের মধ্যে রয়েছে খাদি ও সুতি। বিদেশি কাপড় কিনতে চাইলে সিনথেটিক, নেট বা চায়নিজ কাপড় কিনতে পারেন। এ পর্দাগুলো বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসেও পাওয়া যায়। যেমন- আড়ং, নিপুণ, যাত্রা, আনারকলি। দেশি কাপড় প্রতি গজ ১০০-১৫০, চায়নিজ কাপড় ৫০০-৭৫০ ও নেটের কাপড় ৫০০-৬৫০ টাকা।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।