সেই মাহমুদউল্লাহকেই এখন আস্থার প্রতীক ভাবছেন হাথুরু
সময়ে কত কিছুই না বদলায়। এক সময় (২০১৮ থেকে ২০২২) প্রায় সাড়ে ৩ বছর তিনি ছিলেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। ৪৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে লাল সবুজের দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
কিন্তু হায়! সেই অতি কার্যকর ব্যাটার ও দলের প্রয়োজনে অফস্পিনার হিসেবে প্রমাণিত মাহমুদউল্লাহ ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলেই জায়গা পাননি।
তাকে ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। অতিবড় মাহমুদউল্লাহ ভক্তও আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তখন মনে হচ্ছিল, মাহমুদউল্লাহর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার বুঝি শেষ।
সেই মাহমুদউল্লাহ নিজের চেষ্টায় দলে ফিরেছেন। পরিশ্রমকে সৌভাগ্যের প্রসূতি প্রমাণ করে নিজেকে তুলেছেন অনন্য উচ্চতায়। তার ব্যাট এখন আগের মতই বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য। যে হেড কোচ হাথুরুসিংহে তাকে সব ফরম্যাটে দলের বাইরে রাখার চিন্তা করছিলেন, ছঁক আঁকছিলেন; আজ সময়ের ফেরে সেই টিম বাংলাদেশ হেড কোচের মুখেও রিয়াদের প্রশংসা।
বুধবার দুপুরে শেরে বাংলার কনফারেন্স হলে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহর এই ফিরে আসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হাথুরুর মুখে শুরুতেই প্রশংসা, ‘হ্যাঁ, মাহমুদউল্লাহ নিয়মিতই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাচ্ছিল। তবে তার জাতীয় দলে ফেরাটা দারুণ। সে শেষ দিকে খুব স্ট্রং কামব্যাক করেছে। খেয়াল করে দেখেন, রিয়াদ এখন তার ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছে।’
কোচ হিসেবে মাহমুদউল্লাহকে খুব কাছ থেকে দেখা হাথুরুর মূল্যায়ন, ‘সে তার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচটাই পাল্টে ফেলেছে। এখন সে খুব ভালো ব্যাটিং করছে।’
শুধু প্রশংসা করাই নয়, হাথুরু জানিয়ে দিলেন-এবারের বিশ্বকাপে রিয়াদের কাছে তার প্রত্যাশা অনেক। মাহমুদউল্লাহ কোথায় ব্যাটিং করবেন এবং তার ভূমিকা কী হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে হাথুরু বলেন, ‘রিয়াদ মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করবে। সে ফিনিশারের ভূমিকায় থাকবে। এবং ফিনিশিং টাচ দেওয়ার দায়িত্বটা তার কাঁধেই অর্পণ করা হবে।’
হঠাৎ মাহমুদউল্লাহর ওপর টাইগার কোচের এত আস্থা? তার কারণও ব্যাখ্যা করতে ভোলেননি হাথুরু। আজ মধ্য রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বিমানে চেপে বসার আগে দুপুরে শেরে বাংলার কনফারেন্স হলে প্রেস কনফারেন্সে রিয়াদ সম্পর্কে হাথুরুর শেষ কথা, ‘মাহমুদউল্লাহ ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময় সব ফরম্যাটেই ফিনিশারের ভূমিকাটা বেশ ভালোভাবে সামলেছে।’
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম