আইপিএল পরিসংখ্যানে সাকিব


প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৬

কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে সাকিব আল হাসান আইপিএল এ খেলছেন প্রায় ছয় সিজন ধরে। এবারের আসরে গত ৩টি ম্যাচের খেলেছেন মাত্র ১টিতে। সে ম্যাচে কোন উইকেট না পেলেও ৩ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন মাত্র ১৮ রান। ব্যাটিংয়ে নামারও সুযোগ পাননি, তার আগেই জিতে গেছে তার দল। গত পাঁচ বারের পরিসংখ্যান দেখলে কোলকাতার সাফল্যে সাকিবের অবদান কিন্তু চোখে পড়ার মতন। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক, কেমন ছিল আইপিএল এ সাকিবের পরিসংখ্যান।

২০১১ সাল
২০১১ সালেই সাকিবের আইপিএল যাত্রার শুরু। সেবার অবশ্য খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি তার। তবে ৭ ম্যাচ খেলে বোলিংয়ে মাত্র ৬.৮৬ ইকোনমিতে নিয়েছিলেন ১১টি উইকেট। বোলিংয়ে আলো ছড়ালেও ব্যাটিং ততটা ভাল হয়নি। ১৪.৫ গড়ে এবং ১৩১.৮১ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন সর্বমোট ২৯ রান, যদিও লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নামায় খুব বেশি বল খেলার সুযোগ পাননি তিনি। দল হিসেবে সেবার আইপিএল এ চতুর্থ অবস্থানে ছিল কোলকাতা।

২০১২ সাল
২০১২ সালের আইপিএল-এ প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা। তাতে সাকিবের বোলিংয়ের বেশ ভাল অবদান ছিল। ৮ ম্যাচে ৬.৫ ইকোনমিতে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট, যা কিনা তার আইপিএল ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ। আগের বছরের মত ২০১২ সালেও ব্যাট হাতে তেমন উজ্জ্বল ছিলেন না সাকিব, ১৫.১৬ গড়ে এবং ১২২.৯৭ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন সর্বমোট ৪২ রান। তবে ফাইলালে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে খেলেছিলেন ৭ বলে অপরাজিত ১১ রানের একটি সময়োপযোগী ইনিংস।

২০১৩ সাল
২০১৩ সালের আইপিএল এ কলকাতা দলে নাম থাকলেও বাংলাদেশের হয়ে জিম্বাবুয়েতে খেলতে যাওয়ায় কোন ম্যাচ খেলা হয়নি সাকিবের। দল হিসেবে সেবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

২০১৪ সাল
কলকাতার দ্বিতীয় বারের মত আইপিএল এর শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে ২০১৪ সালে ব্যাটে-বলে সাকিবের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। আইপিএল-এ ওই বছরই সবচেয়ে সফল ছিলেন সাকিব। তার আইপিএল ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ১৩ ম্যাচ খেলে ৬.৬৮ ইকোনমিতে নিয়েছিলেন ১১ উইকেট। পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও ছিল তার দারুণ পারফরম্যান্স। ৩২.৪২ গড়ে এবং ১৪৯.৩৪ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ২২৭ রান, যা ছিল তার এখন পর্যন্ত আইপিএল ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ সর্বমোট রান। সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে ৩৮ বলে ৬০ রান। শুধু তাই নয়, অসাধারণ পারফর্ম করে জিতেছিলেন প্লেয়ার অফ দ্য ফাইনালের পুরষ্কারও!

২০১৫ সাল
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ থাকায় গত বছর মাত্র ৪ ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব। বোলিংয়ে ৮.৭৮ ইকোনমিতে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট আর ব্যাটিংয়ে ১৩৩.৩৩ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন সর্বমোট ৩৬ রান। সাকিবের অনুপস্থিতিতে সেবারও খুব একটা ভাল করতে পারেনি তার দল কলকাতা, গ্রুপপর্ব থেকেই আইপিএল যাত্রা শেষ করেছিল তারা।

আইপিএল এ সাকিবের বোলিং ক্যারিয়ার
ম্যাচ    বল    রান    উইকেট    ইকোনমি    গড়    সেরা    স্ট্রাইক রেট
৩৩    ৭৩৫    ৮৪৫    ৩৮        ৬.৮৯    ২২.২৩  ৩/১৭     ১৯.৩৪

আইপিএল এ সাকিবের ব্যাটিং ও ফিল্ডিং ক্যারিয়ার
ম্যাচ    রান    অপরাজিত    সর্বোচ্চ    চার    ছয়    গড়    স্ট্রাইক রেট    ক্যাচ
৩৩    ৩৮৩     ৬              ৬০       ৩৭   ১০   ২১.২৭  ১৩৯.২৭      ৫

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।