ডি ভিলিয়ার্সকে ফিরিয়ে আইপিএলে সূচনা মুস্তাফিজের


প্রকাশিত: ০৪:১৫ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৬

ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বোলারদের কোন কিছুই রাখা হলো না। পুরোপুরি ব্যাটিং উইকেট। না হয়, বিরাট কোহলি আর এবি ডি ভিলিয়ার্স মিলে যে ঝড় তুললেন, তাতে অন্য কিছু বলার সুযোগ নেই। সানরাইজার্স হায়দারাবাদের পেস ব্যাটারি পুরোপুরি ব্যার্থ যেন ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানদের সামনে। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম মুস্তাফিজ। প্রথম স্পেলে বল করে মাত্র ২ ওভারে ১০ রান দিয়েছিলেন তিনি। যদিও উইকেট পাননি।

দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে আনা হয় যখন মুস্তাফিজকে, তখন রীতিমত রানের পাহাড়ে চড়েছে ব্যাঙ্গালুরু। ১৮তম ওভারে এসেই স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের সামনে ভয়ঙ্কর রূপে হাজির হলেন তিনি। প্রথম বলে ডি ভিলিয়ার্সকে ধোঁকা দিলেন। দ্বিতীয় বলে তার অফ কাটার খেলতে গিয়ে তুলে দিলেন উপরে। ক্যাচটা তালুবন্দী করে নিলেন ইয়ন মরগ্যান।

বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান ডি ভিলিয়ার্সকে দিয়েই আইপিএলে শুভ সূচনা করে নিলেন মুস্তাফিজ। পরের বলে আবারও উইকেট। এবার ফেরালেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসনকে। লেগ স্ট্যাম্পের ওপর দিয়েছিলেন বলটি। হালকা সুইং করে ভেতরে ঢোকার মুহুর্তেই ব্যাটের কানায় বল লাগিয়ে দেন ওয়াটসন। উইকেটরক্ষকের হাতে গিয়ে জমা পড়লো ক্যাচটি।

হ্যাটট্রিকের আরও একটি সুযোগ। কিন্তু না, এবারও হলো না হ্যাটট্রিক। পরের বলে কেদার যাদব ঠেকিয়ে দিলেন হ্যাটট্রিক। যদিও এরপরের বলে আবারও ক্যাচ উঠেছিল। কিন্তু থার্ড ম্যাচে ফিল্ডার ক্যাচ লুফে নিতে ব্যর্থ হন।

ইনিংসের শেষ ওভারে বল করতে আসেন মুস্তাফিজ। এ ওভারে অবশ্য ১৩ রান দেন তিনি। ৪ ওভারে বোলিং ফিগার তার দাঁড়াল ৪-০-২৬-২।

টি-টোয়েন্টির অভিষেকে আফ্রিদিকে আউট করে শুভ সূচনা করেন মুস্তাফিজ। ওয়ানডে অভিষেকে আউট করেছিলেন ভারতের রোহিত শর্মাকে । টেস্ট অভিষেকে আউট করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলাকে। এরপর বিশ্বকাপের অভিষেকে আউট করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথকে।

আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।